বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সন্দীপ মাহাত বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথমে এই বায়ো টয়লেটগুলি বসানোর কাজ শুরু করা হয়। তারপর মার্চ মাস থেকে কোভিড পরিস্থিতির কারণে কাজ আটকে যায়। আমরা প্রায়োজনীয় কাজ শেষ করে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বায়ো টয়লেটগুলি চালু করব। আগামী দিনে শহরে আরও বায়ো টয়লেট বসানোর ইচ্ছে রয়েছে। সেইসঙ্গে কমিউনিটি টয়লেট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার সমাজপাড়া, দিনবাজার, এবিপিসি মাঠের উল্টো দিকে, শিরীষতলায় দু’টি, জেলা স্কুলে, কদমতলা মিউনিসিপ্যাল মার্কেটের ভিতরে, ২ নম্বর গুমটি, পোস্টঅফিস মোড়, তিস্তার স্পার, গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলে বসানো হয়েছে। আরও একটি বায়ো টয়লেট দিনবাজারের মাছ বাজার এলাকায় বসানোর কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দু’টি বায়ো টয়লেট বসানোর কাজ কিছুদিন আগে শুরু হয়। বাকি কাজ পড়ে আছে। একেকটি বায়ো টয়লেটের দাম প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। এর কোনওটির ভিতরে চারটি, কোনওটির মধ্যে দু’টি ভাগ রয়েছে। অর্থাৎ দুই থেকে চারজন একবারে এগুলি ব্যবহার করতে পারবে। শহরের জনবহুল এলাকাগুলিতে কোনও শৌচালয় না থাকায় জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বহু মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে মহিলারা সমস্যার মধ্যে পড়েন। সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই পুরসভা এ কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এগুলি চালু করতে না পাড়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর পিছনে পুরসভার ব্যর্থতাকেই তারা দায়ী করছে। যদিও পুরসভা দাবি করেছে, এগুলি চালু করতে গেলে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে হয়। সেইসঙ্গে জলের ব্যবস্থা করতে হয়। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে সেই কাজগুলি করা যায়নি।