গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কোচবিহার পুরসভা প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, লকডাউনের প্রভাবে হাউস ফর অল প্রকল্পের কাজ থমকে আছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।। টাকা না এলে মানুষ তাঁদের বাড়িঘর তৈরির কাজে হাত দিলে সমস্যা পড়বেন। আগের অর্থবর্ষের টাকা চলে এলেই সেই কাজ আবার শুরু করা হবে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে সবকিছু ঠিকমতো শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে হাউস ফর অল প্রকল্পের মাধ্যমের শহরে ৯২টি বাড়ি তৈরি করার কথা ছিল। সেই খাতে ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা এসেছিল। সেই টাকা দিয়ে সবক’টি বাড়িই তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাকে ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ২৫ হাজার টাকা উপভোক্তাকে দিতে হয়।
ওই বাড়িগুলি তৈরি হওয়ার পরে ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে ৫১৭টি বাড়ির অনুমোদন হয়। এরমধ্যে ২৯৭টি বাড়ির জন্য ১০ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। প্রথম কিস্তিতে ৬ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা আসে। সেই টাকা উপভোক্তাদের দিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা সেই টাকা দিয়ে কাজও শুরু করেন। এরই মধ্যে মার্চ মাসে করোনার কারণে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। সেইসময়েই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনও আসেনি। ফলে ওই উপভোক্তারা তাঁদের বাড়ি তৈরির কাজ আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না।
এদিকে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের জন্য ৬৩৮টি বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তি বাবদ ২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা মার্চ মাসেই পুরসভার হাতে আসে। সেই টাকার থেকে মাত্র কয়েকজন উপভোক্তাকে কিছু টাকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ উপভোক্তাই এই মুহূর্তে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিতে চাইছেন না বলে পুরসভার দাবি। পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের অনেক উপভোক্তাই জেনে গিয়েছেন, ২০১৭-’১৮ বর্ষের উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করার পর টাকা না আসায় সেই কাজ আটকে রয়েছে। এরইমধ্যে বর্ষাও চলে এসেছে। এই সময়ে বাড়ি ঘর ভেঙে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে। তাই অনেকেই এখন কাজে হাত দিচ্ছেন না। ফলে পুরসভাও ওই টাকা এখনও পর্যন্ত খরচ করতে পারেনি।