বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এ ব্যাপারে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন বহু লোকের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে আমাদের বিশেষ ল্যাবরেটরিতে তা পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিনই বেশ কিছু নমুনার রিপোর্ট পরীক্ষার পরে করোনা পজিটিভ হয়। পজিটিভ রোগীদের নামের তালিকা তৈরির পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তা করতে গিয়ে আমরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। অনেকেই সোয়াব দেওয়ার সময় মোবাইল নম্বর ভুল দিচ্ছেন। নাম, ঠিকানাও অনেকে ভুল নথিভুক্ত করছেন। ফলে পরে প্রয়োজন হলে তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওইসব রোগীরা সমাজে মানুষের ভিড়ে মিশে থাকছেন। পজিটিভদের চিহ্নিত করা না গেলে তার ফলে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে আমরা এখন মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করার পাশাপাশি আধার কার্ডও দেখতে চাইছি। অবশ্য সঙ্কটজনক অবস্থায় কোনও রোগী যদি আমাদের কাছে সোয়াব পরীক্ষার জন্য আসেন, সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে পরিচয় পত্র না থাকলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সেধরনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রোগীর করোনা পরীক্ষার জন্য আধার কার্ড না হলেও চলবে। তবে বৈধ মোবাইল নম্বর দিতেই হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করোনা পরীক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মালদহ মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে ৫০ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। প্রথম দিকে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার করোনা পরীক্ষা মালদহেই হতো। বর্তমানে ওই ল্যাবে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। করোনা চিকিৎসার আগে পরীক্ষা জরুরী। সেই পরীক্ষার জন্য স্বচ্ছতার প্রয়োজন। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশ আতঙ্কে নিজেদের সম্পর্কে তথ্য গোপন করছেন। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর এলাকায় তাঁদের যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তারজন্যই এই গোপনীয়তা বলে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন। কিন্তু করোনা রোগীরা তথ্য গোপন করায় আখেরে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ করোনা পজিটিভ হওয়ার পর বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রেও ওই নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক।
পজিটিভ রোগীদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং পরবর্তী পরীক্ষার ফল নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত অন্যান্যদের সংস্পর্শে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বারবার সরকারের তরফে বলা হচ্ছে। রোগ গোপন করছে এমন মানুষজন নিজেকে সুস্থ প্রমাণ করতে অবাধে মেলামেশা করছেন। উপসর্গ না থাকায় তার চারপাশের লোকজন কিছুই জানতে পারছেন না। ফলে তাঁরাও নিজেদের অজান্তে সংক্রামিত হচ্ছেন। এই প্রবণতা কমাতে সচিত্র পরিচয়পত্র দেখানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, মালদহে মঙ্গলবার নতুন করে ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার চার জন হয়েছে। অনেক জায়গাতেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।