গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ময়নাগুড়ির বিএমওএইচ ডাঃ লাকি দেওয়ান বলেন, আমরা উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে বাড়িতে রেখে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। তবে অনেক সময় আমাদের কাছে ফোন আসে আক্রান্তকে এখনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। তাঁদের বারবার বলা হলেও তাঁরা বুঝছেন না, রোগী গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকবেন না সেফ হোমে না কোভিড হাসপাতালে থাকবেন, সেটা ঠিক করে স্বাস্থ্য দপ্তর। আমরা ১৯ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। তারমধ্যে ছ’জন সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা এখনও পর্যবেক্ষণে আছেন। আশা করি, দ্রুত তাঁরাও সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উপসর্গহীন, মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গযুক্ত কেউ সোয়াব টেস্ট করার পর তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজন সেই ব্যক্তিকে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে প্রশাসনের লোকজনের সংশ্লিষ্ট এলাকার রোগীকে তুলে নিয়ে যেতে দেরি হলে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখান। এতদিন উপসর্গহীনদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সম্প্রতি বাড়িতে থেকেও চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলায় গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ৬৬ জন। সেফ হোমে আছেন ১১৮ জন। গৃহ পর্বেক্ষণে থাকলে বিশেষ কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোগীকে সম্পূর্ণ আলাদা ঘরে থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট রোগীর বাড়িতে বয়স্ক কেউ কিংবা উচ্চরক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, ডায়াবিটিস কিংবা অন্য কোনও জটিল রোগের রোগী থাকলে আক্রান্তকে দূরে থাকতে হবে। রোগী বিশ্রামে থাকবেন। সেইসঙ্গে তাঁকে সুষম খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পানীয় গ্রহণ করতে হবে। সাবান জল দিয়ে কিংবা অ্যালকোহল মিশ্রিত স্যানিটাইজার দিয়ে ৪০ মিনিট পর পর হাত ধুতে হবে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস অন্য কেউ যাতে ব্যবহার না করেন, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। রোগীকে চিকিৎসকের নির্দেশমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ঘনঘন মাপতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।