কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালবাজারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিডিও অফিস, বিদ্যুৎ দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে করোনা থাবা বসিয়েছে। বাদ যায়নি মাল পুরভবনও। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন পুরসভা বন্ধ ছিল। ওই সময়ে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের কাজ থমকে যায়। যদিও ওই সময়ে লাগাতার পুরভবন স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। এরপর অফিস খুললেও অনেকেই আতঙ্কে আসছিলেন না। এখন কর্মীরা প্রয়োজনীয় সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা আতঙ্কের মাঝে দৈনিক পরিষেবায় যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তা দেখা হচ্ছে।
মাল পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নর্থ কলোনির বাসিন্দা মানস সরকার বলেন, পুরসভার পাঁচজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। প্রথমদিকে আমরা সকলেই আতঙ্কে ছিলাম। ওই সময়ে পুরসভাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন নাগরিক পরিষেবা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। তবে অফিস খোলার পর এখন নিয়মিত নালা থেকে বর্জ্য তোলা হচ্ছে। রাস্তা সাফাই করা হচ্ছে। করোনা আবহের মধ্যেও পরিষেবা সচল থাকায় আমরা খুশি।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দীপাদেবী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা নাগরিকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পাঁচজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সবস্তরের কর্মীরাই বাড়তি চাপ নিয়ে কাজ করছেন। আমরা দেখছি, অস্থায়ীভাবে কিছু লোক নিয়োগ করা যায় কি না।
প্রসঙ্গত, মাল পুরসভায় ১৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের বাস। করোনা পরিস্থিতিতে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভা নিয়মিত জঞ্জাল অপসারণ করছে। বর্ষার সময়ে বিভিন্ন এলাকায় জল জমলে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের খবর দিলে সমস্যার সমাধান হচ্ছে। কারও জ্বর কিংবা করোনার উপসর্গ দেখা দিলে পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়াও পুরসভা বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা, খাদ্যসামগ্রী বণ্টন সহ বিভিন্ন ধরনের নাগরিক পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে।