সংবাদদাতা, গাজোল: গাজোল ব্লক সদরের গাজোল-১ পঞ্চায়েতের কদুবাড়ি এলাকায় এখনও সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বর্ষায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনিতেই এবছর বৃষ্টির পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই চাষের জমিতে জমে থাকা জল উপচে গ্রামের বাড়িঘরে ঢুকে যাচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীদের আতঙ্ক, আরও বৃষ্টি হলে এই সমস্যা বাড়বে। তাই ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা দ্রুত নিকাশি সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, জমির সমস্যায় আটকে রয়েছে কদুবাড়িতে নর্দমা নির্মাণের কাজ। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য যে জায়গা দরকার, তা মিলছে না বলে থমকে কাজ। কদুবাড়ির গ্রামের বাসিন্দা নিশিকান্ত মণ্ডল, বিমল মণ্ডল, কমল মণ্ডল বলেন, ঘাকসোল এলাকা থেকে জমির আল বেয়ে জমা জল আমাদের এলাকায় চলে আসছে। বেশি বৃষ্টি হলেই জল উপচে বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে। এখানে আমরা কয়েকশো পরিবার বাস করি। আমাদের প্রত্যেককেই এই সমস্যার জেরে ভোগান্তি পোহাতে হয়। জমা জলে পোকার উৎপাত বেড়ে গিয়েছে। মশা ও মাছির উপদ্রবে ঘরে টেকা যায় না। উপায় না পেয়ে জমা জল বের করার জন্য আল কেটে দেওয়া হয়েছে। সেই আল দিয়ে কিছুটা জল বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা তো কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। এখনও আরও মাস দু’য়েক বৃষ্টি হওয়ার কথা। যদি ভারী বৃষ্টি হয়, তাহলে হু হু করে জল ঢুকবে। সেক্ষেত্রে আমাদের বাড়িঘরে আবারও জল ঢুকে যাবে। সেই ভয়ে আগে থেকেই আমরা আতঙ্কিত। দ্রুত আমাদের এলাকার নিকাশি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পরিকল্পিতভাবে পাকা নর্দমা বানাতে হবে। আমরা এলাকার নিকাশি সমস্যা সমাধানের জন্য জোরদার দাবি তুলেছি।
গাজোল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির বিন্দু পুঝর মাল বলেন, ওই এলাকায় বড় নর্দমা তৈরির মতো জায়গা নেই। সেজন্য এখনও পর্যন্ত নিকাশি সংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারছি না। তবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানি। তার একটা সমাধান হওয়া জরুরি। সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সেজন্য আমরা আগামী দিনে ব্লক প্রশাসনকে সব কথা জানাব। গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ন্তকুমার ঘোষ আবার অন্য দাবি করেছেন। তিনি বলেন, মানুষের জন্য একটু ভাবতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে। ওই এলাকায় জল বের করার জায়গা তো রয়েছে। কদুবাড়ির পাশেই পাঁচপাড়া খাঁড়িতে ওই জল ফেলতে হবে। তাহলে তা দিয়ে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাবে। ওই এলাকার নিকাশি সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে হবে।