বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিন্দোলের বালিয়া মোড়ে হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবার ও বিজেপির তরফে দাবি ছিল, খুনের পর তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিসের অবশ্য দাবি, আত্মহত্যা করেছেন বিধায়ক। তাঁর পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। তবে বিধায়কের স্ত্রীয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস খুনের মামলাও রুজু করেছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
নিহত দলীয় বিধায়কের স্মরণসভায় যোগ দিতে সোমবার মালদহ থেকে রায়গঞ্জ পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রায়গঞ্জ থেকে সরাসরি তিনি চলে যান বালিয়াদিঘি গ্রামে। সেখানে বিধায়কের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার কথা বলেন। এরপর বালিয়া মোড়ে বিধায়কের মূর্তি বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন দিলীপবাবু। তারপর দুই কিমি দূরে বিন্দোলের এক মন্দিরের সামনে স্মরণসভায় যোগ দেন। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিসকে আগাগোড়া আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, পুলিস নিজেই সুইসাইড নোট লিখে দেবেনবাবুর পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। যাঁর পায়ে ব্যথা, তিনি দুই কিমি হাঁটতে পারেন? রাস্তায় এত কাদা থাকা সত্ত্বেও তাঁর পায়ে কোনও কাদার দাগ নেই কেন? খুনের ঘটনাকে পুলিস আত্মহত্যা বলে চালাচ্ছে। কার স্বার্থে পুলিস এই কাজ করল? আইপিএসরা এই চক্রান্তে জড়িত। সিবিআই তদন্ত হলে সবার হাল খারাপ হয়ে যাবে। আর যাদের নিয়তি রয়েছে, তাদের ফাঁসি হবে। বিধায়কের রহস্য মৃত্যুতে পুলিস একদিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করছে। আবার খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে। যা নিয়ে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, পুলিস দ্বিচারিতা করছে। তৃণমূলকে বাঁচানোর জন্য নানান গল্প ফাঁদছে। দেবেনবাবুর মূর্তি বসানোর জন্য অনুমতি দেয়নি। স্মরণসভা করার জন্য অনুমতি নেই। আর চোরদের মূর্তি মোড়ে মোড়ে রয়েছে। স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, বালুরঘাটের সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার, জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি প্রমুখ। সায়ন্তন বসুও পুলিসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, আজকে যেসব পুলিস অফিসার তৃণমূলের দালালি করছেন, তাঁরা জেনে রাখুন, আমরা ক্ষমতায় এলে রায়গঞ্জ থেকে পাঠাব ঝাড়গ্রামে। আর ঝাড়গ্রাম থেকে পাঠাব রায়গঞ্জে। গাড়ি পর্যন্ত দেব না। বাসে যাতায়াত করতে হবে।বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়কে আশ্বাস দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। চাঁদিমাদেবী বলেন, সিবিআই তদন্ত হবে বলে দিলীপবাবু আশ্বাস দিয়ে গেলেন। পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। মেয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সহায়তা করবেন। বিধায়কের স্ত্রীও পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, পুলিস একবারই তদন্তের জন্য আমার কাছে এসেছিল। তারপর আর আসেনি। নিজস্ব চিত্র