পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা বিজেপির অন্যতম সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মালদহের প্রায় ৬৫ শতাংশ বুথে আমাদের দলীয় কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১৫ শতাংশ বুথে কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি ২০ শতাংশ বুথে কমিটি গঠন করা যায়নি। সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জুলুম। সংখ্যালঘু এলাকায় মানুষ আমাদের দলে এসে বুথ সভাপতি হলেও তাঁদের ওপর চাপ দিয়ে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, অনেক বুথেই আমরা কমিটি এখনও গঠন করতে পারিনি। তৃণমূল আমাদের কমিটি গঠনে সমস্যা তৈরি করছে। বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে থাকা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির বুথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। তবে যাতে এক মাসের মধ্যেই সর্বত্র বুথ কমিটি তৈরি করতে পারি, সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। এদিন সকালে ইংলিশবাজারে চায়ের আসরে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, বেশ কিছু বুথে আমাদের কমিটি গঠন করা এখনও সম্ভব হয়নি। তৃণমূল সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে বুথ কমিটি গঠনে বাধা দিচ্ছে। তবে আমাদের আটকানো যাবে না। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, নিজেদের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতাতেই বুথ কমিটি তৈরি করতে পারছে না বিজেপি। তাই তৃণমূলের উপরে দোষ চাপিয়ে মুখ রক্ষার চেষ্টা করছে নেতৃত্ব। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, বিজেপি তো নিজেদের জাতীয় দল বলে দাবি করে। কিন্তু আসলে মালদহে বুথ স্তরেই ওদের কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই কমিটি গঠন করতে পারছে না। আমাদের দলীয় কমিটি তো সব জায়গায় রয়েছে। বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই তা করতে পারেনি। আমরা বিজেপির মোকাবিলা রাজনৈতিকভাবেই করি। ওদের কমিটি গঠনে আমরা বাধা দিয়েছি, এই অভিযোগ হাস্যকর। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য মৌসম নুরের বক্তব্য, অনেক বুথেই একজন মানুষও বিজেপির সঙ্গে নেই। তাই সেইসব জায়গায় বিজেপির বুথ কমিটিও নেই।