গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, মোথাবাড়ির ওই রেশন ডিলারের গুদামে সামগ্রী মজুত ছিল। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও চালান ছিল না। চালান তথা কাগজপত্র ছাড়া রেশন সামগ্রী মজুত করা কার্যত কালোবাজারির সমান। ফলে মহকুমা খাদ্য আধিকারিক ওই ডিলারকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে ১২ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। গাজোলের বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এব্যাপারে এদিন দুপুর পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। ব্লক খাদ্য দপ্তরের আধিকারিককে তদন্ত করে এব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের মালদহ জেলা সভাপতি অসিতকুমার সাহা বলেন, ডিস্ট্রিবিউটরদের একাংশ বিভিন্ন কারণে নিয়মিত চালান দেন না। তাছাড়া সবসময় সামগ্রীর সঙ্গে চালান নিতে গেলে গণবন্টন ব্যবস্থা সুষ্ঠভাবে চালানো সম্ভব নয়। প্রযুক্তিগত কারণে চালান পেতে দেরি হয়। তখন বিনা চালানেই সামগ্রী নিয়ে আমরা মানুষকে রেশন দিয়ে থাকি। এটা পারস্পরিক বিশ্বাসের কারণে হয়। মোথাবাড়ির ঘটনাতেও ডিলারের ক্ষেত্রে এরকম ঘটেছিল। ওই ডিলার জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে বিষয়টি জানিয়ে জরিমানা মকুবের আবেদন করেছেন। এখন জেলা খাদ্য দপ্তর কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে প্রায় ৭৫০টি রেশন দোকান রয়েছে। পাশাপাশি জেলায় মোট ৫০ লক্ষেরও বেশি রেশন গ্রাহক রয়েছেন। এজেলায় রেশন সামগ্রী বন্টন নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। কখনো ওজনে কম আবার কখনো দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বরাদ্দকৃত রেশন সামগ্রী গ্রাহকদের না দেওয়ার অভিযোগও রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে শোনা যায়। সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মাঝেমধ্যেই রেশন দোকানে হানা দেন। প্রশাসনের আধিকারিকরাও বিভিন্ন সময়ে রেশন দোকানে অভিযান চালান। তাতে অনেক গরমিল ধরা পড়ে। বেশিরভাগ রেশন ডিলার দোকানের সামনে দাম সহ সামগ্রীর তালিকা টাঙিয়ে রাখেন না বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ফলে কোন সময় সরকার কী বরাদ্দ করছে তা উপভোক্তারা জানতে পারেন না। সেই সুযোগ নিয়ে অবাধে রেশন সামগ্রী পাচারের কারবার চলে বলে উপভোক্তাদের দাবি।