বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, ব্রিজটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর তৈরি করছে। তবে ব্রিজটির কাজ শেষের মুখে। হয়তো সাময়িক কোনও কারণে এখন কাজ বন্ধ আছে। নিশ্চয়ই কাজ শুরু হবে।
ব্রিজটির কাজ কেন বন্ধ তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি এলাকার অনেকেই। কেউ বলছেন, বর্ষার জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। কেউ আবার বলছেন লকডাউনের কথা। হাকিমপাড়ার এক বাসিন্দার বক্তব্য, কয়েকমাস ধরেই কাজ হচ্ছে না। এখন ঘুরপথে অন্য ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ব্রিজটির অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় কাজ আটকে যায়। ব্রিজের উপরের অংশটি একটি ফরাসি কোম্পানি তৈরি করবে। তারজন্য সমস্ত মালপত্র কলকাতায় এসে গিয়েছে। খুব বেশি হলে আর ১০-১২ দিনের কাজ বাকি আছে। উপরের অংশে কাজ করার জন্য জলে ক্রেন নামাতে হবে। কিন্তু এখন নদীতে জল অনেক। ক্রেন নামানো যাবে না। তাই জল একটু কমলে কাজটি করা হবে।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, করলা নদীর উপর রবীন্দ্রভবনের কাছে আরও একটি নতুন ব্রিজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দু’পাশে রাস্তা তৈরি না থাকায় তা চালু করা হচ্ছে না। রবীন্দ্রভবনের সামনের ব্রিজটি করছে এসজেডিএ। সংস্থার চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, ব্রিজটির কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ বাকি আছে। রাস্তার কাজের জন্য জমিও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু জমির টাকা মেটানোর জন্য অর্থ দপ্তরের অনুমতি লাগবে। অর্থ দপ্তরের অনুমতির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে করলা নদী। নদী পারাপারের জন্য সুনীতিবালা সদর গার্লস হাইস্কুলের কাছে একটি ব্রিজ ছিল। ওই ব্রিজটিই ভেঙে নতুন করে বানানো হচ্ছে। নদীর অপরপ্রান্তে যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের এখন ভরসা তিস্তা উদ্যানের সামনের ব্রিজ বা দিনবাজারের করলা ব্রিজ। বেশি লোক যাতায়াত করায় দিনবাজারের করলা ব্রিজ চত্বরে হামেশাই যানজট হচ্ছে। এ জন্য বাসিন্দাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।