পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহকুমার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, রবিবার বাজার খুলতেই ব্যাপক ভিড় হবে। ওই সময়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে বাজারে কেনেকাটা চলবে। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি থাকলে ভিড় কমানো যাবে। যদিও মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, লকডাউন উঠে গেলেও কেউ যাতে সামাজিক দূরত্ব অবজ্ঞা না করে তা দেখা হবে। সেই জন্য বাজারগুলিতে কড়া নজরদারি চালানো হবে। পুলিস আধিকারিকরা বাজারে বাজারে গিয়ে ঘুরবে।
মেখলিগঞ্জের একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্য সুনির্মল গুহ বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকে প্রশাসনকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। আমরা দাবি করেছিলাম, লকডাউন উঠে গেলে গ্রামীণ বাজারগুলিতে যাতে নজরদারি বজায় রাখা হয়।
প্রশাসন বাজারে নজরদারি করার কথা জানিয়েছে। শুনেছি, মহকুমা প্রশাসন টিম গড়েছে। ওই টিম বাজারে ঘুরলে আশা করি, সামাজিক দূরত্ববিধি লোকজন মানবে।
মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রামকুমার তামাং বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন লকডাউন করেছিল। শনিবার তা শেষ হয়।
রবিবার বাজারগুলি খুলে যাবে। বাজারে যাতে সাধারণ মানুষ অকারণে ভিড় না করেন সেইজন্য টিম করা হয়েছে। আমাদের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে বাজার পরিদর্শন করবেন। কোথাও কেউ নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মেখলিগঞ্জ মহকুমার দু’টি পুরসভা সহ ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র সংলগ্ন ক্যাম্পে কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান সংক্রামিত হন। গ্রামীণ, পুর এলাকতেও কয়েকজন আক্রান্ত হন। এদিকে জেলা প্রশাসনের ডাকা চারদিনের লকডাউন আজ উঠে যেতেই ফের গ্রামীণ বাজারগুলি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। বাজারে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ভিড় হবে।