বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। স্থানীয় একটি মুদির দোকানে ওই কিশোরের মা জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক তাঁকে কটূক্তি করে। এনিয়ে বচসা বাঁধে। বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের বাড়ির লোকজনও। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। এনিয়ে সেদিনই বালুরঘাট থানায় দু’পক্ষই অভিযোগ জানায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মহিলা ফের দোকানে জিনিস কিনতে যান। তখন আবার অভিযুক্তরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মায়ের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ওই কিশোর ও তাঁর বাবা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তখন অভিযুক্তরা কিশোরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অভিযোগ, তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। বাঁশ দিয়ে মারা হয় তার মাথায়। ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। জখম কিশোরকে উদ্ধার করে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। ঘটনার জেরে এদিন বালুরঘাট থানায় ১১ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এবিষয়ে অবশ্য অভিযুক্তদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রবীর মন্ডল, কমল কর্মকার ও পিন্টু দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএসপি হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র বলেন, বালুরঘাটের আঁখিরাপাড়ায় একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে। একজন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত কিশোরের মা রুমা বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঝামেলা হয়েছিল। সন্ধ্যায় আমি আবার দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে অভিযুক্তরা আমাকে নানা কটূক্তি করে। অভব্য আচরণ করে। খবর পেয়ে আমার স্বামী ও ছেলে আমাকে বাঁচাতে এলে আমাদের সবার উপর ওরা চড়াও হয়। ছেলের মাথায় বাঁশ দিয়ে মারা হয়। এতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসি চাই।
এদিন সকাল থেকে অনেকেই ভিড় জমান মৃত ওই কিশোরের বাড়িতে। ওই কিশোর স্থানীয় নরেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাবা বিপুল বর্মন গাড়ি করে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস সরবরাহের কাজ করেন। ঘটনায় এলাকাবাসী থেকে মৃতের আত্মীয়পরিজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা কালীপদ সিং বলেন, আমরা এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা চাই। পুলিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।