গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পাঁচবছর আগে শিলিগুড়ি মহকুমায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। মহকুমায় ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, চারটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং একটি মহকুমা পরিষদ রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৫৩৭টি। এরমধ্যে মহকুমা পরিষদে ন’টি, পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ৬৪টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৬৪টি আসন রয়েছে। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে তিনটি স্তরেই ভোট হয়েছিল। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও মহকুমা পরিষদের পরিচালন বোর্ড গঠন করা হয়। বর্তমান পরিচালন বোর্ডের মেয়াদ আর তিনমাস পরই শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়নি। মহকুমার রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, যতদিন পর্যন্ত বোর্ডের মেয়াদ আছে, ততদিন থাকব। তবে এবার মহকুমায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট হবে কি না তা বুঝতে পারছি না। ভোট হলে ভালোই হবে। এর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের কাজল ঘোষ অবশ্য বলেন, এখন কোভিড মোকাবিলা করার কাজে ব্যস্ত। তাই ওই নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার যা নির্দেশ দেবে, তাই হবে। তিন স্তরেই প্রশাসক বসতে পারে। তবে আমরা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুত। ১৬ মে শিলিগুড়ি পুরসভার বামফ্রন্ট পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, মার্চ মাসে পুরসভার ভোট নিয়ে রাজ্য সরকার প্রস্তুতি শুরু করে। আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারী পরিস্থিতির জেরে নির্বাচন প্রক্রিয়া থমকে যায়। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলী গঠন করা হয়। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার একই পন্থা অবলম্বন করতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।