গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস খানেক আগে কয়েকটি গর্ত কাদামাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টির জলে সেই মাটি উঠে গিয়েছে। ফলে ফের আগের মতো গর্ত হয়ে রয়েছে। এ নিয়ে পূর্ত দপ্তরকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঠিকাদারি সংস্থা নিজেদের মতো করেই কাজ করছে।
শীতলকুচির তৃণমূলী বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, মাথাভাঙা-শীতলকুচি রাস্তাটি অনেকদিন ধরেই ভেঙেচুরে আছে। পূর্ত দপ্তর রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল। আমি শুনেছি, সেখানে কাজ নিম্নমানের হচ্ছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, কাদামাটি দিয়ে রাস্তার গর্ত ভরাট করার কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা জোরপাটকি বাজার চৌপথিতে তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এমনটা হলে আমরা মানব না। পিচ দিয়েই রাস্তা সংস্কার করতে হবে।
পূর্ত দপ্তরের কোচবিহারের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য সড়ক সংস্কার করার কাজ শুরু করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এ ধরনের অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। রাস্তাটি সম্প্রসারণের ব্যাপারে আমাদের কাছে রাজ্য তথ্য চেয়েছে। ওসব পাঠানো হয়েছে। আশা করি, ওই রাস্তাটি সম্প্রসারণ হবে।
মাথাভাঙা থেকে শীতলকুচি ২০ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তাটি দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে খানাখন্দে ভরে আছে। বছর কয়েক আগে পূর্ত দপ্তর রাস্তাটি সম্প্রসারণের কথা জানিয়ে সংস্কার করেনি। তারা সেই সময় জানিয়েছিল রাস্তাটি দু’দিকে দু’মিটার করে চওড়া হবে। তাই রাস্তার ধারের গাছ কাটার জন্য নম্বরও বসান হয়েছিল। কিন্তু গত দু’বছরে কোনও কাজই হয়নি। রাস্তাজুড়ে বড়বড় গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে।
ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে ছোট গাড়ি, মোটর বাইক দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে। এদিকে দীর্ঘদিন বেহাল থাকার পর বাসিন্দারা বিভিন্ন সময়ে সরব হতেই সম্প্রতি পূর্ত দপ্তর রাস্তাটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।