পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বালুরঘাটের চকভৃগু, সাহেব কাছারি, খিদিরপুর বটতলা, পরানপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ সকালে জমায়েত করে। পুলিস লাঠি উঁচিয়ে ধাওয়া করলে ফাঁকা হয়ে যায়। এছাড়াও বালুরঘাট শহরে বেশকিছু বাসিন্দাকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কয়েকজন ব্যবসায়ী লকডাউনের নিয়ম ভেঙে দোকান খুলেছিলেন। পুলিস অভিযান চালিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় এবং মাস্কহীনদের আটক করে। বালুরঘাট শহরে ১০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে পুলিস আটক করেছে। বালুরঘাট সদরের ডিএসপি ধীমান মিত্র বলেন, এদিন লকডাউন সফল হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের ছবিটাও ছিল অনেকটা একইরকমের। পুলিস ও গরমের দাপটে বাসিন্দারা গৃহবন্দিই ছিলেন। রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর শহরে দুয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও পরে পুলিস সেগুলি বন্ধ করে দেয়। এদিন রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে পুলিসের একটি বিশাল দল রায়গঞ্জ শহর এবং সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অভিযান চালায়। লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এছাড়া অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হওয়া বহু মানুষকে পুলিস আটক করে। পাশাপাশি এদিন রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের চকোলেট দিয়ে অভিনন্দন জানান ট্রাফিক পুলিসের কর্মীরা। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, এদিন লকডাউন যথেষ্ট কার্যকর হয়েছে।
বুধবারের লকডাউনে ইংলিশবাজার শহরের অলিগলিতে কেউ মাছ বিক্রি করলেন। কেউ আবার পুলিসকে ফাঁকি দিয়ে দোকান খুললেন। তবে শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে ওইসব জায়গায় ইংলিশবাজার থানার পুলিস হানা দেয়। মাছ বিক্রেতাকে সবকিছু গুটিয়ে দ্রুত বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিস। অন্যদিকে, দোকান খোলার অভিযোগে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এদিন জেলাজুড়ে সকাল থেকেই পুলিসি টহল শুরু হয়। দুই পুর এলাকা, ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহে পুলিসের নজরদারি বেশি ছিল। খাঁকি উর্দিধারীদের পাশাপাশি র্যাফ এবং জেলা পুলিসের কমান্ডো বাহিনীকেও এদিন রাস্তায় নামতে দেখা যায়।
ইংলিশবাজার শহরের একটি ঠ্যালা গাড়িতে গ্যাসের ওভেন জ্বালিয়ে এক ব্যক্তি খাবার বিক্রি করছিলেন। লকডাউন অমান্য করায় পুলিসকে তাঁর গ্যাস সিলিন্ডার তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোলা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেয় পুলিস। দুপুর নাগাদ মুষলধারে বৃষ্টি নামায় পুলিস কিছুটা রণে ভঙ্গ দেয়। পরে ফের নজরদারি শুরু হয়। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এদিন ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লকডাউনকে কেন্দ্র করে জেলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।