বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেই জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই ঠেকগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। আবগারি দপ্তরের কর্মীরা ক্রেতা সেজে ফাঁদ পেতেছিলেন। গত ১৫ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন একাধিক বেআইনি ঠেকে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে চোলাই মদ, দেশি ও বিদেশি মদ ছাড়াও চোলাই মদ তৈরির সামগ্রীও আবগারি দপ্তর উদ্ধার করেছে। আগামীতে জেলাজুড়ে আরও কড়াভাবে বেআইনি মদের ঠেকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
জেলা আবগারি দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট শুভেন্দু শেঠ বলেন, গত ১৫ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রচুর চোলাই মদ ও দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়ে হয়েছে। এই অভিযানের তীব্রতা আগামীতে আরও বাড়ানো হবে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে অবৈধ চোলাইয়ের ঠেকগুলি রমরমিয়ে চলে। এধরনের মদ তৈরির ক্ষেত্রে কোনও সতর্কতাও নেওয়া হয় না। সেক্ষেত্রে হাটে বাজারে বিক্রি হওয়া এধরনের মদ পান করে অনেক সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়া বা এমনকি মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। সেইসঙ্গে বেআইনি মদের ঠেকে বিক্রি হয় দেশি-বিদেশি মদও। সেগুলিতেও অনেক সময়েই ভেজাল থাকে। অভিযোগ, বাইরের জেলা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এধরনের ঠেক গড়ে তুলেছে কিছু অবৈধ কারবারি। তাদের রুখতে এর আগেও অভিযান চালিয়েছে আবগারি দপ্তর। কিন্তু তারপরে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তারা। তাই আবার ময়দানে নামতে হয়েছে আবগারি দপ্তরকে। কর্তারা জানিয়েছেন, এধরনের কারাখানার উপর নজর রাখা হচ্ছে। দ্রুত তাঁরা এই কারখানা গুলি বন্ধ করতে সফল হবেন। সেইসব কারখানা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের পাশাপাশি ভিন জেলাতেও চোলাই মদ সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
এছাড়া মদ্যপানের কুফল নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়াসও নেওয়া হয়েছে। আবগারি দপ্তরের দাবি, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় একের পর এক চোলাই মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছে। সেসব জায়গায় আদিবাসী ভাষায় মদ্যপান নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। স্থানীয় ভাষায় প্রচার করলে তার বার্তা বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে যাবে বলে আশাবাদী দপ্তরের কর্তারা।