গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, লকডাউন পর্বে এখনও পর্যন্ত তারা ৩৫০০ লিটার দেশি, বিলেতি মদ ও চোলাই বাজেয়াপ্ত করেছে। ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরেছিল। এছাড়াও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেআইনি মদের ঘাঁটিতে হানা দিয়ে প্রচুর মদ নষ্ট করে দিয়েছিল। বুধবার লকডাউন থাকায় মঙ্গলবারই মদ জোগাড় করে রাখতে অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত ঘরের বাইরে ছিল।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, পুলিস তাদের কর্তব্য পালন করছে। এরপরেও ফাঁকফোকড় দিয়ে কেউ কেউ অবৈধ এই ব্যবসা করছে। এরফলে নতুন বাজারে সন্ধ্যার পর মহিলারা চলাফেরা করতে ভয় পান। আমি নিজে কৃষক বাজারে দিনেরবেলায় মদ্যপ কিছু যুবককে ধরেছিলাম। এরআগেও নতুন বাজারে একটি বাড়ি থেকে শতাধিক মদের বোতল পুলিস উদ্ধার করেছিল। এমন অবৈধ ব্যবসা আটকাতে ব্যবসায়ী সমিতির বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রয়োজন হলে সকলকে ডেকে বৈঠক করা যেতে পারে। বেআইনি মদের ব্যবসা বন্ধ হওয়া দরকার।
ময়নাগুড়ি নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, এরআগে আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বেআইনি মদের কারবারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। এখনও পর্যন্ত প্রচুর মদের ঠেক ভাঙা হয়েছে। ফের বাজার চত্বরে বেআইনি মদের কারবারিরা ব্যবসা শুরু করেছে। আমরা এরমধ্যেই সমিতিগতভাবে বৈঠকে বসব এবং প্রশাসনকে জানাব।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, রাতে অভিযানে যাওয়া হয়েছিল। ওই সময়ে কেউ ছিল না। গত কয়েক মাসে বেআইনিভাবে বিক্রির জন্য মজুত প্রচুর মদ নষ্ট করা হয়েছে। এমন অভিযান আমাদের চলছে।
ময়নাগুড়ি নতুন বাজারে বেশকিছু খাবারের দোকান, পানের দোকানের আড়ালে বেআইনি মদের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। পুলিস বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে একাধিকবার ওই কারবারিদের গ্রেপ্তার করেওছে। জামিন পেয়ে অভিযুক্তরা ফের এই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।