পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা সংক্রণমের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী দেখে হ্যামিল্টনগঞ্জ, হাসিমারা, জয়গাঁ ও কালচিনির ব্যবসায়ী সংগঠন দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের জন্য সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। তারপরেই বুধবার ও শনিবার দু’দিন রাজ্য সরকার ঘোষিত লকডাউনকে ধরে রবিবার পর্যন্ত গোটা ব্লককে লকডাউনে রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায়। সেই আবেদনে প্রশাসন সায় দেয়।
জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রামাশঙ্কর গুপ্তা বলেন, সংক্রমণ বাড়ছে। তাই ব্যবসার ক্ষতি হবে জেনেও সংক্রমণের রাশ টানতে বাধ্য হয়েই প্রশাসনের কাছে আমাদের এই অনুরোধ রাখতে হয়েছে। ব্লক প্রশাসন আমাদের অনুরোধ রাখায় আমরা খুশি। কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা বলেন, সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে গোটা ব্লকে পাঁচদিনের লকডাউনের অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধ মেনেই কালচিনি ব্লকে বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত পাঁচদিনের লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার জেলার অন্য এলাকার মতো গোটা কালচিনি ব্লকও পূর্ণ লকডাউনে ছিল। একমাত্র সীমান্ত এলাকা জয়গাঁয় ভুটান গেট দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ করা হয়েছে। তা ছাড়া কোথাও যানবাহন চলেনি। হাটবাজার, সরকারি বেসরকারি অফিস ও দোকানপাট সব কিছুই বন্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার চা বাগানকে লকডাউনের আওতার বাইরে রেখেছে। সেই অনুসারে কালচিনি ব্লকের ২১টি বাগানে এদিন সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই দিনভর স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়। চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকার যেহেতু চা বাগানকে লকডাউনের বাইরে রেখেছে সেই অনুসারে এদিন ব্লকের সবক’টি চা বাগানেই স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।