রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
লকডাউনের জন্য পুরসভার স্থানীয়ভাবে আয়ের পথগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতে বিভিন্ন খাতে পুরসভা ব্যয় কমিয়েছে। আরও কাটছাঁটের চিন্তাভাবনা করছে পুর কর্তৃপক্ষ। একদিকে রাজ্য থেকে ফান্ড আসছে না, অন্যদিকে নিজস্ব আয় কমে যাওয়ায় পুরসভার কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় ওয়ার্ডবাসীর মধ্যেও পুরসভার বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনন্তকুমার বর্মা বলেন, আমাদের হাতে এখন টাকাপয়সা নেই। তাই পুরবাসীর দাবি থাকলেও নতুন কোনও কাজে হাত দিতে পারছি না। জমানো তহবিল ভেঙে কোনওরকমে নালা, নর্দমা সংস্কার করা হচ্ছে। না হলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হবে। ওই টাকায় ছোটখাট জরুরি কাজগুলি করতে হচ্ছে। রাজ্য থেকে টাকা না আসাতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।
পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ফান্ড না থাকায় পুরসভা টাকা দিতে পারছে না। তাই আমার ওয়ার্ডের কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছি না। পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলনেতা তথা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সিপিএমের নিত্যেন্দ্রচন্দ্র দে বলেন, সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে আমার ওয়ার্ডের বেশকিছু রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। সেসব মেরামত করতে প্রশাসক বোর্ডকে বলেছিলাম। কিন্তু হাতে টাকাপয়সা নেই বলে চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন।
তুফানগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পার্কিং এলাকা থেকে এবং পুরসভার যন্ত্রপাতি যেমন রোলার, ডাম্পার ভাড়া দিয়ে টাকা আসত। করোনা পরিস্থিতিতে পার্কিং আদায় বন্ধ, যন্ত্রপাতি ভাড়া হচ্ছে না। তাই ওইসব ক্ষেত্র থেকে আয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শহরের বিবেকানন্দ মার্কেট, রেগুলেটেট মার্কেট থেকেও পুরসভার তহবিলে টাকা আসত। সেটাও এখন বন্ধ। পুরসভার অধীনে থাকা আবাহন, রায়ডাক এবং রূপশ্রী ভবনে আগে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান হতো। ভবনগুলি থেকে রোজগার হতো। কিন্তু লকডাউনের কারণে ২৪ মার্চ থেকে শহরে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং আগের মতো ওইসব অনুষ্ঠান শুরু হবে, তার ঠিক নেই।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পুরসভা বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজপাড়ায় জলের ট্যাঙ্ক সহ পাইপলাইন বসানো হচ্ছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে ওই কাজ এখন বন্ধ। কর্মীদের বেতন এবং পেনশন দিতে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা দরকার হয়। এমন অবস্থায় তাতে কোপ পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে ক্রমেই চিন্তা বাড়ছে। শীঘ্রই যদি পুরসভার নিজস্ব রোজগার ফের শুরু না হয়, তা হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে সেটাই প্রশ্ন।