কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মাথাভাঙা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, শহরে ক্রমবর্ধমান করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সাতদিনের জন্য শহরে লকডাউন করা হয়েছিল। এদিন লকডাউন উঠে গেলে বাজার খোলে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভিড় হয়। তাছাড়া জেলা প্রশাসন বুধবার থেকে চারদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা বারবার সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা জানিয়েছি। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। একদিনের জন্য বাজারের দোকানপাট খুলেছে। এ কারণে ভিড় হয়েছে সর্বত্র। বাজারে গিয়ে এসব ব্যাপার সামাল দেওয়া পুরসভার কর্মীদের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, মাথাভাঙার মহকুমা শাসক সহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মচারী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন। তারপরেই শহরে লকডাউন ঘোষণা করে পুরসভা। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল। এমনকী এ ক’দিন শহরে ব্যাঙ্কও বন্ধ ছিল। সাতদিন বন্ধ থাকার পর এদিনই শহরের লকডাউন খুলে দেওয়া হয়। এরমধ্যে কোচবিহার জেলা প্রশাসন জেলাজুড়ে ফের চারদিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে বুধবার থেকে চারদিনের জন্য ফের বন্ধ হচ্ছে সমস্ত কিছু।
এদিন সকাল থেকে দোকানপাট খুলতে শুরু করায় শহরের বাসিন্দারা বাজার করতে বেবিয়ে পড়েন। সব্জি বাজার সহ মুদিখানা দোকান সর্বত্রই ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। মাথাভাঙা বাজারের রাস্তায় টোটো, ছোট মালবাহী গাড়ির দাপটে যানজট তৈরি হয়। দুই-তিনদিনের মাছ কিনে রাখার জন্য অনেকেই মাছ বাজারে চলে আসেন। মাংসের বাজারে ভিড় ছিল। যদিও অনেকেই মাস্ক না পরে এদিন বাজার করতে বেরিয়ে পড়েন। সামাজিক দূরত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে আগে বাজার করতে অনেককেই ভিড় ঠেলে এগিয়ে যান। অনেকদিন পর বাজার খোলায় এবং ভিড় হওয়ায় এদিন কাঁচা সব্জির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। তবুও শহরবাসী তা কিনে মজুত করেন।