দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার ও আগামী শনিবার এমনিতেই রাজ্য সরকার ঘোষিত লকডাউন আছে। অন্যদিকে, স্থানীয় পুর ও মহকুমা প্রশাসন মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই তিনদিন জেলা শহর, সংলগ্ন বীরপাড়া মোড়, শোভাগঞ্জ, রেল জংশন ও দমনপুরে লকডাউন ঘোষণা করে। করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে সব মিলিয়ে টানা পাঁচদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথমদিনেই এই লকডাউনে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে।
সেই জন্যই দিনের শেষে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের মুখে চওড়া হাসি ছিল। আইসি বলেন, পাঁচদিনের লকডাউনের প্রথমদিন অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। তাই এদিন কোনও ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেনি।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক মহকুমা শাসক শ্রীরাজেশ বলেন, পুলিসের কাছে খবর নিয়ে দেখেছি মঙ্গলবার লকডাউনে ধরপাকড়ের একটিও কেস নেই। তবে ব্যাঙ্ক খোলা থাকা নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবুও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে লকডাউনের বিষয়টি জনানো হয়েছে।
এদিন শহরের রাস্তায় কোনও যানবাহন চলেনি। খোলা ছিল না একটিও দোকান, বাজার। শহরের লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোড, আলিপুরদুয়ার-কুমারগ্রামদুয়ার রোড, ফালাকাটা-কোচবিহার রোড, নিউ আলিপুরদুয়ার বিজি রোড, মায়া টকিজ রোড ও প্যারালাল রোড ছিল শুনশান। একই দৃশ্য ছিল শহর সংলগ্ন চারটি এলাকাতেও।
শুধু সকালে কলেজ হল্টে বক্সা ফিডার রোডের পাশে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে পেনশন তুলতে প্রবীণ মানুষদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। ফালাকাটা রোডে হাসপাতাল মোড় থেকে জেলা হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তায় রোগী নিয়ে কিছু টোটো অটোকেও যেতে দেখা যায়। শহরের রাস্তায় হঠাৎ করে একটি-দু’টি টোটো দেখা গেলেও সংক্রমণ এড়াতে এই মুহূর্তে বাড়িতে থাকা কতটা জরুরি টোটো থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের সেটা বুঝিয়েছেন পুলিস ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরাও। তারই মধ্যে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে টোটো চলাচল আটকে দেয় পুলিস।
শহরে ইতিমধ্যেই করোনার বলি হয়েছেন এক বৃদ্ধ। শহরে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আলিপুরদুয়ার পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত ও তাঁর নাতনি সহ অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বাড়ছে আতঙ্ক।
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, আমরা টোটো থামিয়ে টোটোচালক ও যাত্রীদের বুঝিয়েছি সংক্রণ এড়াতে এই মুহূর্তে বাড়িতে থাকাটা কত জরুরি। মানুষ সেটা বুঝেছে। তবে তারই মধ্যে আলিপুরদুয়ার কোর্ট সংলগ্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক শান্তু সরকার প্রশ্ন তুলেছেন, লকডাউনে শুধুমাত্র দোকানপাট, হাটবাজার বন্ধ থাকবে কেন? কেন ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য অফিস বন্ধ থাকবে না? এটা প্রশাসনের দেখা দরকার।