দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিন বিকালে জেলা থেকে কয়েকশো গাড়ি নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা বিপ্লব মিত্রকে নিয়ে আসতে মালদহ গিয়েছিলেন। মালদহ থেকে সেই কনভয়েই জেলায় পা রাখেন তৃণমূলে ফেরা নেতা। হরিরামপুর থানার মেহেন্দিপাড়ায় জাতীয় সড়কের পাশে কর্মীরা জমায়েত করেন। সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে বিপ্লব মিত্রকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর সেই বিশাল কনভয় নিয়ে বুনিয়াদপুরে পৌঁছন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। বুনিয়াদপুর পুরসভার কাউন্সিলর ও আইএনটিটিইউসি’র উদ্যোগে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রওনা দেন নিজের শহর গঙ্গারামপুরের দিকে। সন্ধ্যা নাগাদ গঙ্গারামপুরে বিপ্লব মিত্র পা রাখতেই তাসা, ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সংবর্ধনা শেষে কর্মীদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে বিপ্লববাবু বাড়ি যান।
বিপ্লব মিত্র বলেন, আমি সাধারণ মানুষের কাছে এতো ভালোবাসা পাব, তা বুঝতে পারিনি। লোকসভা নির্বাচনের পর দলের অন্দরে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে আমি দল ছেড়ে বিরোধী দলে গিয়েছিলাম। আমি পাঁচ মাসে বুঝতে পেরেছি যে বিজেপি দিল্লি ও গুজরাত থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। সেখানে রাজ্যের কোনও গুরুত্ব নেই। তারপর নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে আবার আমার পুরোনো দলে ফিরেছি। এবার আমি জেলায় ফিরেছি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে সংগঠনের কাজ করব। যেভাবে এদিন গোটা জেলার তৃণমূল কর্মীরা আমাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী বলে কিছু থাকবে না।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, আমরা জেলায় বিপ্লব মিত্রকে অনুসরণ করে রাজনীতি করেছি। আমাদের কাছে তাই এদিন বড়ই আনন্দের দিন। জেলার তৃণমূল কর্মীরা একসঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবককে সংবর্ধনা দিয়েছি ও স্বাগত জানিয়েছি। বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন বলেন, তিনি জেলায় ফিরতেই জনপ্লাবন হয়েছে।
এদিন কিন্তু বিপ্লববাবুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও জেলা স্তরের নেতৃত্বের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। গঙ্গারামপুর শহরের তৃণমূল নেতৃত্বও সামনে আসেনি। জেলা সভাপতি গৌতম দাসকে এব্যাপারে জানতে চেয়ে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, বিপ্লববাবু জেলায় ফিরেছেন বা তাঁকে কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় সংবর্ধনা দিচ্ছেন কি না, সেবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে অর্পিতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বেশ কিছু নেতাকে এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে।