বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের খবর, ভারতের দিকে রেললাইন পাতা, সিগন্যালিং সহ সমস্ত পরিকাঠামোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সীমান্ত থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত কিছু কাজ বাকি থাকলেও তা শেষ করতে বড়জোড় একসপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশের দিকে কিছুটা কাজ বাকি আছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, হলদিবাড়ি স্টেশন সহ সীমান্ত পর্যন্ত সমস্ত কাজই শেষ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের দিকে কাজ চলছে। সেটা শেষ হলেই গোটা রেলরুট তৈরি হয়ে যাবে। তারপর দু’দেশের ছাড়পত্র মিললেই চালু হবে ট্রেন পরিষেবা।
জলপাইগুড়ির এমপি ডাঃ জয়ন্ত রায় বলেন, আমরা চাইছি দ্রুত এই রুটে যোগাযোগ চালু হোক। এতে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ উপকৃত হবে।
চিলাহাটি স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় সাত কিমির মধ্যে প্রায় তিন কিমি লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। ভারতের দিকে পরিকাঠামোর কাজ খতিয়ে দেখতে এ বছরের প্রথমে হলদিবাড়ি স্টেশন পরিদর্শন করেছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়। নতুন প্লাটফর্ম, সাতটি রেল ট্র্যাক, রেলকর্মীদের আবাসন, রানিং রুমের কাজ শেষ হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের খবর, হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ১২ কিমি। তারমধ্যে হলদিবাড়ি থেকে জিরো পয়েন্টে পর্যন্ত দূরত্ব সাড়ে তিন কিমি। জিরো পয়েন্ট থেকে চিলাহাটির দূরত্ব সাড়ে আট কিমি। রেলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, বাংলাদেশের দিকে কাজ কবে শেষ হচ্ছে, তারউপরে নির্ভর করছে সূচনার দিনক্ষণ। তবে যেভাবে কাজ চলছে, তাতে চলতি বছরের শেষের দিকেও গোটা পথে সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, অবিভক্ত বাংলায় ১৮৭৬ সালে হলদিবাড়ি হয়ে চিলাহাটি দিয়ে কলকাতা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছিল ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। ১৯৬৫ সালে এই রুটে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আবারও দু’দেশের সরকার এই রুটে রেল যোগাযোগ স্থাপনে উদ্যোগী হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় রেল এ জন্য বরাদ্দ করে ৩১ কোটি টাকা। পরবর্তীতে আরও ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।