বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, করোনায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির দেহ দাহ করার জন্য তিন যুবককে বাড়িতে ঢুকতে এলাকার লোকজন বাধা দিচ্ছেন কি না বলতে পারব না। মৃতদেহ সৎকারের সময়ে আমাদের সঙ্গে থাকা তিন যুবক সহ থানার পুলিসকর্মীদের সোয়াব টেস্ট করা হবে। টেস্টের ফল দেখে ঠিক করা হবে, কাকে কোথায় পাঠানো হবে।
এলাকার মানুষজন ওই তিন যুবককে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় তাঁদের পরিবার আর্থিক অনটনে পড়েছে। বিড়ম্বনায় পড়া তিন যুবকের মধ্যে একজন বলেন, আমাদের অপরাধ কেন করোনায় আক্রান্তের দেহ দাহ করার কাজে সহযোগিতা করেছি। এই অপরাধে ও সংক্রমণের ভয়ে এলাকার লোকজনের বাধায় বাড়িতে ঢুকতে পারছি না। বাড়িতে ঢুকলে মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, ওই রাতে শ্মশানঘাটে সকলেই পিপিই পরেছিলেন। ওই তিন যোদ্ধাকে স্যালুট জানাই। বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দারা আতঙ্কিত থাকলেও এভাবে ওঁদের বাড়িছাড়া করে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
শামুকতলা হাটের ওই তিন যুবকের মধ্যে দু’জন বিবাহিত। তিনজনই এলাকার যেকোনও সামাজিক কাজে এগিয়ে আসেন। তাঁরা পেশায় দিনমজুর। দিন মজুরির বিনিময়ে তাঁরা মৃতদেহ দাহ করার কাজও করেন। সংসার চালানোর জন্য করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গিয়ে এখন প্রতিবেশীদের বাধার মুখে তাঁরা বাড়ি ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে শামুকতলার শক্তিনগরের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলা হাসপাতালে মারা যান। শামুকতলা থানার ওসির নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ শামুকতলা থানার লালপুল শ্মশানঘাটে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহ দাহ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। মৃতদেহ দাহ করার কাজের জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন ওসির অনুরোধে শামুকতলা বাজারের বাসিন্দা ওই তিন দিনমজুর এগিয়ে আসেন। মৃতদেহ সৎকার করার কাজে তাঁরা পুলিসকে সহযোগিতা করেন বলে জানা গিয়েছে।