বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বালুরঘাটের মহকুমা শাসক তথা পুরসভার প্রশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, আবর্জনা সাফাইয়ের গাড়িগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখতে জিপিএস সিস্টেম চালু করা হবে। তাতে আমরা সহজে পুরসভাতে বসেই সেগুলির উপর নজরদারি রাখতে পারব। ইতিমধ্যে বোর্ড মিটিংয়ে এব্যাপারে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। একটি কোম্পানির সঙ্গে কথাও হয়েছে। তারা দ্রুত কাজ শুরু করে দেবে।
বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ বলেন, শহরের সব রাস্তা ও গলিতে আবর্জনার গাড়ি যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা বোর্ড মিটিংয়ে তাই গাড়িগুলিতে এই জিপিএস লাগানোর চিন্তাভাবনা করেছিলাম। খুব তাড়াতাড়ি তা বাস্তবায়িত করা হবে।
জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি গাড়ি পুর এলাকায় আবর্জনা সাফাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু শহরের একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির কাছে নিয়মিত আবর্জনা সাফায়ের গাড়ি আসে না। তাঁরা পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আরও অভিযোগ, এই কাজে নজরদারির জন্য যাঁদের সুপারভাইজার হিসেবে রাখা হয়েছে, তাঁরাও ঠিকমতো কাজ করেন না। সেই অভিযোগ মেটাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সেজন্য চালানো হবে ডিজিট্যাল নজরদারি।
বালুরঘাট শহরে আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার জন্য টোটো, ট্রাক্টর, ছোট মালবাহী গাড়ি, জেসিবি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য আলাদা আলাদা করে গাড়ি দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা পরিষেবায় সমস্যার অভিযোগ তুললেও, পুরসভার খাতায় কলমে কোনও ফাঁকিবাজি পাওয়া যায় না। অনেক সময় দেখা যায়, খাতায় কলমে হাজিরা দেখালেও সেই গাড়ি এলাকায় না গিয়ে অন্যত্র ভাড়া খাটতে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিতেও অনেক সময় ঢিলেঢালা কাজ করেন। রোজ রোজ সব জায়গায় যান না বলেও অভিযোগ। তাই আদতে গাড়িগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় যাচ্ছে কি না, তা জানতে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বালুরঘাটে।
কিভাবে নজরদারি চালাবে এই জিপিএস সিস্টেম? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িগুলিতে একটি ছোট যন্ত্র লাগানো থাকবে। অন্যদিকে পুরসভায় একটি কন্ট্রোল রুমে থাকবে কম্পিউটার। গাড়ির জিপিএস মেশিন তার স্যাটেলাইট লোকেশন সেইকম্পিউটারে পাঠিয়ে দেবে। সেই গাড়ি পুরসভা থেকে কখন বেরিয়ে, কোথায় কোথায় গিয়েছে, কোন ওয়ার্ডের কোন রাস্তা দিয়ে গিয়েছে, কোথায় কতক্ষণ দাঁড়িয়েছে, সব জানা যাবে। ডেটা কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকবে। এমনকি চাইলে কম্পিউটারে সেই গাড়ির লাইভ লোকেশনও দেখা যাবে। শহরের বাসিন্দারা এবার অভিযোগ করলেই তার যথার্থতা যাচাই করে নিতে পারবে পুর কর্তৃপক্ষ।