সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: মঙ্গলবার লকডাউনের প্রথম দিনে ময়নাগুড়ির বেশকিছু ব্যবসায়ী প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে নির্দিষ্ট সময়ের পরও দোকান খুলে রেখে ব্যবসা করলেন। ময়নাগুড়ি ব্লক সদরের বাজারগুলিতে পুলিস ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার পরে অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করেন। তবে এদিন ব্যবসায়ী সমিতিকে কোনও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
ময়নাগুড়ি ব্লকে করোনা সংক্রমণ রুখতে জেলাশাসকের নির্দেশে এদিন থেকে ছ’দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। তবে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্যের নির্দেশে যে লকডাউন তা তেমনই থাকবে। অপরদিকে, মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির সদরে ছিল হাট বার। নতুন বাজারে এদিন হাট বসেছিল। ভোর থেকেই হাটে ভিড় উপচে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই হাটে কেনাবেচা চলে। অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। ১১টার পরেও হাটে পসরা সাজিয়ে বসে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে পুলিস পৌঁছে সবাইকে তুলে দেয়।
ময়নাগুড়ি শহিদগড় হাইস্কুলের শিক্ষক দীপক চক্রবর্তী বলেন, লকডাউন যেমন প্রয়োজন তেমনই মানুষের মধ্যেও সচেতনতা থাকাটা প্রয়োজন। করোনা মোকাবিলায় সরকার যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি সরকারের কথার তোয়াক্কা না করে অযথা হাটে বাজারে ঘুরে বেড়াই তাহলে তো সমস্যা। করোনা মানেই মৃত্যু নয়, তবে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, এদিন আমাদের কাছেও খবর এসেছে সকাল ১১টার পর অনেক ব্যবসায়ী দোকান খোলা রেখেছিলেন। তবে আমরা সেব্যাপারে পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি পেতেই হবে। তবে একথাও সত্যি মানুষজন সচেতন নয়। ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, দিন দিন ময়নাগুড়িতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে এই লকডাউন। লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।