বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, রাজেন্দ্র ভবনের সঙ্গে কংগ্রেসের ঐতিহ্য ও দীর্ঘ ইতিহাস জড়িত রয়েছে। শুনেছি ওইখানে একটি বহুতল তৈরি হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। কংগ্রেস চাইছে নির্মীয়মাণ বহুতলে আমাদের জন্যও একটি স্থান থাকুক। যেহেতু রাজেন্দ্র ভবনে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় প্রতিষ্ঠায় বরকত সাহেবেরই উদ্যোগ ছিল, তাই ওইখানে জায়গা পেলে আমরা তাঁর কিছু স্মারক রাখব। এর পিছনে আমাদের উদ্দেশ্য হল, মালদহের নাগরিকরা যেন চাইলেই সেই প্রদর্শনী দেখতে পারেন। শহরে আসা পর্যটকরাও তা দেখার সুযোগ পাবেন, বলাই বাহুল্য।
আগে রাজেন্দ্র ভবনে কংগ্রেস কার্যালয় থাকাকালীন সেখানে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী ছিল বলে জানান প্রায় এক দশক কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, বর্তমান জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের উচিত ছিল রাজেন্দ্র ভবনে কংগ্রেস কার্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষা করা। আমি সভাপতি থাকাকালীনও বেশ কয়েকবার দলীয় কার্যালয় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমি তা বারবারই ফিরিয়ে দিয়েছি।
এক সময় ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা দেবপ্রিয় সাহা বলেন, রাজেন্দ্র ভবন আমাদের কাছে তীর্থস্থানের মতই পবিত্র।
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজেন্দ্র ভবনের পরিবর্তে হায়াত ভবন থেকে জেলা কংগ্রেসের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু হায়াত ভবনেও দলের বৈঠক বা কর্মসূচীর জন্য স্থান অসংকুলান হওয়ায় জেলা কংগ্রেসের পার্টি অফিসের জন্য নতুন জায়গা খোঁজার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।
দলের জেলা সভাপতি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা ইংলিশবাজার পুরসভার কাছে খানিকটা জায়গা চেয়েছি। নতুন করে জেলা কংগ্রেস ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রয়াত বরকত সাহেবের ভাই তথা কংগ্রেসের সংসদ সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) ও গনির ভাইপো তথা আমাদের দলের বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আরও খানিকটা স্বাভাবিক হলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকার বলেন, পুরসভার কাছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব কিছুটা জায়গার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আর কথা হয়নি। তাঁরা পুরসভায় এলে আবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার কাছ থেকে সম্মতি পেলে নতুন জেলা কংগ্রেস ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজেন্দ্র ভবনের স্মৃতি রক্ষার্থে ওই নতুন বহুতলেও জায়গা চাইছে তারা।