দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ওই স্তম্ভ তৈরি করা হচ্ছে। শহরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ও মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য এই আয়োজন। লকডাউনের আগেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল রায়গঞ্জ পুরসভা। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছু সমস্যা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সব সমস্যা কাটিয়ে স্বাধীনতা দিবসেই সেই স্তম্ভে জাতীয় পতাকা উড়তে চলেছে। এদিন স্তম্ভের কাজ খতিয়ে দেখেন পুরসভার প্রতিনিধিরা।
চেয়ারম্যান বলেন, রায়গঞ্জের শহরের প্রায় কেন্দ্রে রয়েছে ঘড়ি মোড় এলাকা। এখানে আমরা দেশাত্মবোধের প্রতীক হিসেবে ওউ উঁচু স্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করব। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই এদিন আমি এসেছি। প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা রূপায়ণে আমাদের খরচ হয়ে গিয়েছে। আমরা আশাবাদী, এই পতাকা শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তুলবে।
রায়গঞ্জ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের যেকোনও প্রান্ত থেকেই দেখা যাবে ওই স্তম্ভের উপর লাগানো দেশের জাতীয় পতাকা। এখন চলছে তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, স্তম্ভটি যেমন সুউচ্চ, তার সঙ্গে লাগানো পতাকাটিও তেমনই বিশাল মাপর হতে চলেছে। প্রায় ৩০ ফুটের একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার লক্ষ্য নিয়েছি আমরা। সেই পতাকা সারা বছর ধরে, ২৪ ঘণ্টা ধরে উড়তেই থাকবে। বহুদূর থেকে এই জাতীয় পতাকা দেখার জন্য মানুষ আসবেন। রাতের বেলায় যাতে তা দেখা যায়, সেজন্য ঘড়ি মোড়ে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থাও করা হবে। সবমিলিয়ে যাতে কোনওভাবেই প্রস্তুতিতে কোনওরকম খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এদিন পুরসভার আধিকারিকরা পরিদর্শন করেন।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে অনেকটা উঁচু স্তম্ভের উপর জাতীয় পতাকা রয়েছে। এছাড়া দেশের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি জায়গাতেই এমন ব্যবস্থা রয়েছে বলে রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। যে স্তম্ভের উপর পতাকা লাগানো হবে সেটিও উন্নত মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে তাতে সহজে মরচে না ধরে সেজন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।