কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এমএসভিপি বলেন, করোনার উপসর্গ থাকলেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেওয়ার একটা প্রবণতা ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে বর্ষার মরশুমের কারণে অনেকেরই জ্বর, সর্দিকাশি হচ্ছে। তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা না করে মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এখন প্রায় প্রতিটি ব্লকেই করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের পরিকাঠামো রয়েছে। তা সংগ্রহ করে আমাদের কাছে পাঠালে দ্রুত রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর রোগীদের নির্দিষ্ট চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। তাছাড়া রোগী রেফারের আগে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোনও কারণে তাঁদের না পেলে আমাকে ফোন করতে পারেন। আমাদের জানিয়ে তারপর ব্লকের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে রোগী মেডিক্যালে পাঠালে কোনও অসুবিধা হবে না। আমরা আগে থেকে বিষয়টি জেনে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে রাখতে পারব।
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা সমন্বয় রেখে চলছি। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে তারজন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রোগী রেফার নিয়ে জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটা ঠাণ্ডা লড়াই সারাবছর চলে। ব্লক স্তরের বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এর অন্যতম কারণ। সেইজন্য ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতাল বা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা সঙ্কটজনক রোগীদের সেখানে রাখার সাহস পান না। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থার সামান্য অবনতি হলেই তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। এদিকে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে বেডের তুলনায় দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ রোগী ভর্তি থাকে সবসময়। তাছাড়া বেশিরভাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জুনিয়র ডাক্তারদের ভরসায় চলে। সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে চেম্বার এবং নার্সিংহোম চালানোর অভিযোগ মাঝেমধ্যেই ওঠে। ফলে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল চালাতে নাজেহাল হয়ে পড়ে। তখন তাদের রোষ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর পরিচালিত চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি থেকে লাগাতার রেফারেলের উপর গিয়ে পড়ে। তবে করোনা পরিস্থিতি অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা। বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজগুলি প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের ভারও তাদের কাঁধে রয়েছে। ফলে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে আরও সদর্থক হতে হবে বলে তারা মনে করে।
মালদহ মেডিক্যালের এক চিকিৎসক বলেন, করোনা উপসর্গযুক্ত রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কার্যত অচ্ছুৎ ভাবছে। হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের কোনওরকমে নামিয়ে দিয়ে তারা চলে যাচ্ছে। এদিকে, জ্বর-কাশি দেখলেই সংশ্লিষ্ট রোগীর কাছে কেউ ঘেঁষছে না। ফলে হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার কেউ থাকছে না।