রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ভূয়ো টেলিফোন নম্বর লিখিয়ে লালারস পরীক্ষা করিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুরসভার চার বাসিন্দা। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আর খোঁজ মিলছে না আক্রান্তদের। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে। সম্প্রতি তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের রিপোর্টের বিষয়টি জানাতে গিয়ে এই ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁরা প্রত্যেকেই ভুয়ো নাম, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর দিয়ে লালারস পরীক্ষা করিয়েছিলেন। এমনই সন্দেহ করছে রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার পর্যন্ত তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই এই ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, পুর এলাকার চারজন পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁদের লালারস রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংগ্রহ করা হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁদের দেওয়া ফোন নম্বরে ও ঠিকানায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সেখানে তাঁদের পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত আমরা। শহরের বাসিন্দাদের আমরা বলতে চাই যে করোনায় আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সুবন্দোবস্ত রয়েছে। ভূয়ো পরিচয়ের বদলে সঠিক পরিচয় দিলেই তাই সকলের পক্ষে মঙ্গল।
রায়গঞ্জ শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কেবল শহরেই প্রায় ২৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা সুস্থও হয়ে উঠছেন। কারও কোনও রকম উপসর্গ থাকলে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছে রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষ। মানুষদের সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি কেউ কোনওধরনের অসুবিধা বোধ করলে যাতে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, সেজন্যও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে এধরনের ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে। যদি কোনওভাবে ওই সংক্রামিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে আরও কেউ সংক্রামিত হয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়বে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক বয়কটের মতো ঘটনাও ঘটছে। করোনা আক্রান্তরা তাই অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের পরিচয় দিতে কুণ্ঠা বোধ করছেন। সামাজিক ভয় থেকেই হয়তো তাঁরা নিজেদের প্রকৃত নাম-পরিচয় দিতে ভরসা পাচ্ছেন না।