বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা কংগ্রেসের বর্তমান কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, আমরা ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করি না। তাই হয়তো রাজেন্দ্র ভবন আমাদের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। অথচ মালদহ তথা রাজ্য রাজনীতির একসময়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বরকত গনিখান চৌধুরীর অনেক স্মৃতি বহন করে এই ঐতিহ্যশালী জেলা কার্যালয়। তাঁর ও কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের বিভিন্ন দলীয় নেতাই পা রেখেছেন এই রাজেন্দ্র ভবনে। প্রণব মুখোপাধ্যায়,প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী, সোমেন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় কে নেই সেই তালিকায়। ১৯৯৪ সাল নাগাদ রাজেন্দ্রভবন থেকে পাট চুকিয়ে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় হায়াত ভবনে চলে আসে। এখনও সেখান থেকেই পরিচালিত হয় দলের কাজকর্ম।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, এই রাজেন্দ্রভবন থেকেই আমাদের রাজনৈতিক উত্তরণ হয়েছে। এই ভবন ছিল বরকত গনিখানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলকেন্দ্র। চোখের সামনে উধাও হয়ে যাওয়া এই ভবনের স্মৃতি আমরা হারাতে চাই না।
জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় নেতাজী মোড়ে মালদহ টাউন ক্লাবের কাছে ছিল জেলা কংগ্রেস কার্যালয়। ষাটের দশকের শেষে কংগ্রেস ভেঙে গেলে আদি কংগ্রেসের দখলে থেকে যায় তৎকালীন জেলা কার্যালয়। গণিখানের উদ্যোগে মালদহের বুলবুলচণ্ডীর এক জমিদার পরিবারের কাছ থেকে ভাড়ায় নেওয়া রাজেন্দ্র ভবনেই ইন্দিরা কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতানেত্রীরা গড়ে তোলেন তাঁদের অফিস।
রাজেন্দ্র ভবন ভেঙে বহুতল নির্মাণ নিয়ে একই রকম মুহ্যমান ও ক্ষুব্ধ পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতানেত্রীরাও। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্র প্রায় ১০ বছর সভাপতি হিসাবে জেলা কংগ্রেস চালিয়েছেন রাজেন্দ্র ভবন থেকেই। এই ভবনে রাখা সিন্দুক, দামী কাঠের টেবিল-বেঞ্চ, মহাপুরুষদের তৈলচিত্র ইত্যাদি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেসের উচিত ছিল এই ভবন রক্ষা করা। আমি সভাপতি থাকাকালীন শত প্রলোভনেও রাজেন্দ্র ভবন ছাড়িনি।
রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই ভবনের সঙ্গে। আমাদের অনেকের রাজনৈতিক উত্থান এই ভবন থেকেই। এখন শুনেছি ওখানে বহুতল হবে।