কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দ্বিজেনবাবু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও স্থানীয় বিধায়কের ষড়যন্ত্র। হাটপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তরে খবর না দিয়ে নিজেরাই বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠতে গেলে আমি বাধা দিই। কারণ যে কোনও সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তখন তারাই আমাকে গালিগালাজ করে ও লঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে আসে। আক্রমণকারীরা স্থানীয় বিধায়ক সমরবাবুর লোকজন।
এদিকে সমরবাবু বলেন, আমি বাড়িতেই রয়েছি। বিলাইমারিতে কি ঘটেছে আমার জানা নেই।
রতুয়া থানার ওসি কুণালচন্দ্র দাস বলেন, বিলাইমারিতে গণ্ডগোলের অভিযোগ পেয়েছি। পুলিস ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কালীতলা মোড়ে ট্রান্সফর্মারের ফিউজ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। ঘন ঘন ফিউজ উড়ে যাচ্ছিল। ওই ট্রান্সফর্মার সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিলাইমারি অঞ্চলের সভাপতি দ্বিজেন মণ্ডলের। তাঁর স্ত্রী মীরা মণ্ডল বর্তমানে বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ট্রান্সফর্মারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফিউজ লাগাতে যায়। তখন দ্বিজেনবাবু ও তাঁর দলবল তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ, দ্বিজেন ও তাঁর দলবল হাটপাড়ার বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলায় দীপক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির মাথা ফেটে যায়। দীপকের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জখমদের উদ্ধার করে রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।