বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হবিবপুর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, বেগুনবাড়ি হুড়াবাড়ি এলাকায় কালভার্টের অ্যাপ্রোচ রোড ভেঙে যাওয়ার কারণে বহু যাত্রীবাহী বাস এসে ওই এলাকায় এইদন আটকে পড়ে। এতে বাসিন্দারা সমস্যার সম্মুখীন হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পিডব্লিউডি’র কর্তারা দেখছেন। দ্রুত রাস্তা মেরামত করে যাতে তা যানবাহন চলাচলের যোগ্য করা যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পিডব্লিউডি’র (গাজোল ডিভিশনের) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পীযূষকান্তি জানা বলেন, ওই রাজ্য সড়ক দিয়ে ওভারলোডেড গাড়ির চলাচল করে। তাদের চাপে কালভার্টের একটি দেওয়াল ধসে রাস্তার মাটি বসে যায়। আমরা রাজ্য সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে।
কালভার্টের গার্ডওয়াল কাত হয়ে গিয়ে অ্যাপ্রোচ রোডের একটি অংশ পুরোপুরি ধসে গিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, বৃষ্টির জলের তোড়েই ওই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কালভার্ট তৈরির পর থেকেই অ্যাপ্রোচ রোডের ওই অংশটি নরম ছিল। জলের তোড়ে সেটি আরও বসে যায়। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই উদ্যোগে মাটির বস্তা দিয়ে ধস মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন রাস্তা পুরোপুরি ভেঙে বসে গিয়েছে। আগে থেকে প্রশাসনের লোকেরা ব্যবস্থা নিলে এধরনের দুর্ঘটনা ঘটত না বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা আরও বলেন, ভোরের দিকে যখন ঘটনা ঘটে তখন রাস্তায় যানবাহন কম ছিল। তাই বড় কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। বা কেউ হতাহত হয়নি।
মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়ক দিয়ে জেলা সদর সহ গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া যায়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পর উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের বিকল্প রাস্তা হিসেবে রাজ্য সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মালদহের ওই রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর ও গাজোল যাওয়া যায়। দুর্ঘটনার কারণে সেসব এলাকার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে কোথাও কোনও বড় নদী নেই। নদীর জল বাড়ায় যে জলের তোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে, তা নয়। অ্যাপ্রোচ রোডের ওই অংশ দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। এদিন ভোরে বৃষ্টির সময় হঠাৎ করে রাস্তার মাটি বসে যাওয়ায় বিপত্তি হয়। সকাল থেকেই ভাঙা রাস্তার দু’পারে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। প্রচুর মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে দুর্ভোগে পড়ে ফিরে যান। বেশকিছু যাত্রীবাহী বাস বিকল্প রুট ধরে। ওই কালভার্ট এড়িয়ে যেতে তিলাসন রোড হয়ে প্রায় ২৫কিলোমিটার ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে যাত্রীদের।