গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পাচারকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত। রাজ্যের মধ্যে ওই দুই জেলার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি চোরাচালান হয় বলে পুলিস জানিয়েছে। মালদহের কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর সীমান্ত গোয়েন্দাদের কাছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ওই দুই থানা এলাকা দিয়ে গোরু, জাল নোট, ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল, ব্রাউন সুগার সহ অন্যান্য মাদক পাচার করা হয়। জাল নোট ছাড়া অন্যান্য জিনিস এদেশ থেকে বাংলাদেশে বেশি পাচার হয়। কিন্তু সাপের বিষের ক্ষেত্রে ঠিক তার উলটোটাই ঘটছে। পাচারের সময় দুই দেশের কারবারিরা সীমান্তের দু’পাশে নানা ধরনের পশু পাখির ডাক নকল করে আওয়াজ দেয়। ওই সঙ্কেতেই চলে পাচার।
রাজ্যে সাপের বিষ পাচার চক্রের মূল করিডর হয়ে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত। সম্প্রতি বামনগোলা থানার পুলিসের হাতে ধরা পড়া দু’জন পাচারকারীরা বাড়িও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বন দপ্তর প্রায় ২০০ কোটি টাকার সাপের বিষ বুনিয়াদপুরের নারায়ণপুর থেকে উদ্ধার করেছিল। ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হয়। তদন্তে নেমে বনদপ্তর জানতে পারে সেই সাপের বিষের জারগুলি বাংলাদেশ হয়ে এলারে পাচার হয়েছে। পরে ঠাকুরপুরা সংলগ্ন কেশবপুর এলাকা দিয়ে পাচার হয়েছে। ঘটনায় সেই এলাকার এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে পাচারের আগে দিঘিপাড়া সীমান্তে ২৬ কোটি টাকা মুল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। পতিরামেও প্রায় ১৮ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়। ফুলবাড়িতে ছয় কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার হয়। কিছু দিন আগে ঠাকুরপুড়ার দিঘিপাড়া সীমান্তে আবার ছয় কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি এই এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা রয়েছেন, যাদের সঙ্গে বিদেশের সাপের বিষ পাচার চক্রের জড়িতদের যোগসাজশ রয়েছে।
এদিকে, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইংলিশবাজার থানার পুলিস দেড় কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ ভর্তি পাত্র সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশ থেকে বিষ আমদানি করেছিল বলে ধৃতরা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছিল। কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জ এলাকার এক মহিলা শাড়ির আঁচলের তলায় বিষ ভর্তি পাত্র ওপার থেকে এপারে এনে দেয় বলে তারা পুলিসকে জানায়। ইংলিশবাজার ও বামনগোলায় আটক হওয়া পাত্রটিও একই ধরনের। ওই বিশেষ কাঁচের পাত্র ফ্রান্সে তৈরি হয়। শুধুমাত্র পাত্রটির দামই প্রায় এক কোটি টাকা। সূর্যালোক এবং বাতাসের সংস্পর্শে এলে বিষ নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে তা ওই বিশেষ বুলেটপ্রুফ পাত্রের মধ্যে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে।