বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল বর্মন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি করছি। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরই প্রতিবাদে আমরা সম্প্রতি পথ অবরোধ করেছিলাম। ধানের চারা রোপণ করে প্রতিকী প্রতিবাদও আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এরপরেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনও উদ্যোগই নেয়নি।
পঞ্চানন অনুরাগী তথা খলিসামারি পঞ্চানন স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক গিরিন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, খলিসামারিতে সারাবছর দেশ বিদেশের মানুষ আসেন। সেখানে যাওয়ার রাস্তা বছরের পর বছর বেহাল হয়ে রয়েছে। কেন জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন নজর দিচ্ছে না এটা ভাবলে অবাক হই। আমরা পঞ্চানন অনুরাগীরা এ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শীতলকুচির খলিসামারি পঞ্চানন বর্মার জন্মস্থান হওয়ায় সারা বছরেই বিভিন্ন জায়গার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তাটি করা হয়েছিল। প্রায় পাঁচবছর আগে সেটি ভেঙে যাওয়ার পর পুনরায় রাস্তাটি নতুন করে করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পাঁচবছরে দু’বার সংস্কার করা হলেও কাজ এতটাই নিম্নমানের হয়েছিল যে তিনমাসেই রাস্তা আগের মতো ভেঙে যায়। পাশাপাশি সরকারহাট বাজার থেকে জটামারি পর্যন্ত প্রায় তিনকিমি রাস্তাটিও দ্রুত সংস্কার করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
একইসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জটামারির কাছে দু’বছর আগে বন্যা পরিস্থিতির জেরে একটি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পুনরায় সেটি আর তৈরি করা হয়নি। ছোট হিউমপাইপ বসিয়ে নামকেওয়াস্তে মেরামত করা হয়েছে। ধরলা নদীর জল ঢুকলে ফের রাস্তাটির ওই জায়গা ভেঙে যেতে পারে। মনীষী পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটেতে যাওয়ার বেহাল রাস্তাটি বানানোর আশ্বাস বহুবার মন্ত্রী, বিধায়করা দিয়ে গেলেও কাজ কিছুই হয়নি। গোটা রাস্তায় বড়বড় গর্ত হয়ে আছে। জলকাদায় যাতায়াত করতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।