গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শহরের ফল বিক্রেতা ভীম সরকার বলেন, কলা, আপেল, মুসম্বি লেবু তো এখন সারাবছরই বিক্রি হয়। তবে এখন ফলমূলের একটু চাহিদা বেশি রয়েছে। দাম আগের তুলনায় বেড়েওছে। আমরা বাইরে থেকে বেশি দামেই ফল কিনে আনছি। তাই দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। অন্যান্য ফলের তুলনায় লোক মুসম্বি ও কলাটাই বেশি কিনছেন।
বালুরঘাটের এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রেতা রঞ্জন হাজরা বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে অনেক মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুর্বেদিক ওষুধের উপরই ভরসা রাখছে। এখন ক্রেতারা অনেক সচেতন। তাঁরা দোকানে এসে নিজেদের পছন্দ মতো ওষুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব ওষুধ খেলেই যে করোনা পালাবে তা নয়, তবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের একটি বড় দোকানের বিক্রেতা অভিজিৎ দত্ত বলেন, দোকানের চবনপ্রাস, গ্লকোজ, মধু, সহ নানারকম সামগ্রী বেশি বিক্রি হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে নিজেদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হয়ত এসব কেনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন বাসিন্দারা। এছাড়া সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারই খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে।
তবে করোনাকে ঠেকাতে এসব খাওয়ার আদৌ কোনও উপকার আছে কি? এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্পণ সরকার বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাজারে যেসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে, তার সঙ্গে করোনা প্রতিরোধের কোনও যোগসূত্র নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রথমেই প্রোটিনযুক্ত খাওয়ার খাওয়া দরকার। সেইসঙ্গে দরকার ভিটামিন। একেকটা খাদ্যদ্রব্যে একেকরকম গুণ থাকে। সব জিনিস খেলেই যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, এমন কোনও কথা নেই। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তবেই এসব করা উচিত।
বালুরঘাট শহরের বাসিন্দা মানিক সরকার বলেন, শুনেছি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে করোনা সংক্রমণ রোখা যায়। সেই ক্ষমতা বাড়াতে আমরা তো সাধারণত আলাদা করে কিছু করি না। তাই এই সময় যদি আমরা সচেতন হয়ে এধরনের ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করি, তাতে ক্ষতি কি? আরেক বাসিন্দা মিঠুন মণ্ডল বলেন, আমরা সারাবছরই বাড়িতে ফলমূল, চ্যবনপ্রাস খাই। তবে এখন দেখছি ফলের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। সকলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইছে। তাই এসবের চাহিদা বেশি।
বালুরঘাট শহরে মুদিখানা ও মণিহারি দোকানগুলিতে চ্যবনপ্রাস, গ্লুকোজ, মধু, ড্রাই ফ্রুট, হেলথ ড্রিঙ্ক প্রভৃতি সামগ্রীর বিক্রি আগের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাই। শহরের বাজারগুলিতে আগে মুসম্বির দাম আগে ছিল ৪০ টাকা কেজি। এখন ৭০ টাকা। আপেলের দাম ১২০ থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে। বেদানার দাম আগে ১২০ টাকা থাকলেও এখন ২০০ টাকায় বিকোচ্ছে।