কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে একটি অনলাইন সংস্থার কর্মী অভিজিৎ মহন্ত বলেন, একদম প্রথমে যখন দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছিল তখন বেশ কিছুদিন একদম জরুরি সামগ্রী ছাড়া অনলাইনে আর কিছু কেনা বেচা বন্ধ ছিল। তবে এখন ফের তা শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই বাইরে বের হতে চাইছেন না। তাঁরা অনলাইনেই জিনিসপত্র অর্ডার দিচ্ছেন। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেগুলি পৌঁছে দিচ্ছি। রাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে নানা ধরণের উপহার সামগ্রী বেশি বিক্রি হচ্ছে।
শহরেরই বাসিন্দা তন্নিমা সিংহ সোমবার রাখী পড়াবেন ভাইদের। তিনি বলেন, এমনিতেই দোকানপাট খুব একটা খোলা নেই। সেইসঙ্গে আমি ভিড়ের মধ্যে গিয়ে বাজার করতে চাইছিও না। রাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে ভাইদের জন্য গিফট কিনতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই অনলাইনেই অর্ডার করেছিলাম। বাড়িতে এসে গিফট দিয়ে গিয়েছেন ডেলিভারি বয়। সুদেব সরকার নামে এক যুবক বলেন, লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাটের উপহারের দোকানগুলি বন্ধ রয়েছে। শনিবার থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্ধারিত সময় মেনে আবার দোকান খুললেও আর উপহার কিনতে দোকানে যাইনি। ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করেছি।
শুক্রবার অবধি বালুরঘাট পুরএলাকায় জারি ছিল লকডাউন। গত শনিবার থেকে প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী শহরের সমস্ত দোকান বেলা ২টা অবধি খুলে রাখা যাবে। তবে রাখী একদম ঘাড়ের কাছে চলে আসায় দোকানের ভরসায় বসে না থেকে অনলাইনেই কিনে নিয়েছেন অধিকাংশ দিদি-বোনেরাই। এছাড়াও বালুরঘাট শহরের বেশকিছু দোকান থেকেও ফোনের মাধ্যমে উপহার সামগ্রী ও রাখী আনিয়ে নেওয়ার সুযোগ মিলেছে। এক স্থানীয় ব্যবসায়ী অরুণ সরকার বলেন, কেউ গিফট নিতে চাইলে আমি হোয়াটস অ্যাপে ছবি ও দাম পাঠিয়ে দিচ্ছি। অর্ডার করলে সেগুলি বাড়িতে দিয়ে আসছি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এবছর রাখী নিয়ে উৎসাহ ও হইচইটা অন্যান্য বছরের তুলনায় কমই। বালুরঘাট শহরের এক রাখী বিক্রেতা রাজুপ্রসাদ শীল বলেন, আগের বছরের তুলনায় এবছর অনেক কম রাখি তুলেছি দোকানে। তাও বিক্রিবাট্টা নেই বললেই চলে। মানুষ সংক্রমণের ভয়েই আসছে না বাজারে। বাজার মন্দা থাকায় এবছর নতুন মডেলের কোনও রাখীও রাখিনি। থানামোড়ের এক মিষ্টির দোকানদার অরূপ দাস বলেন, গত বছর রাখীর সময় হরেক রকমের মিষ্টি বানিয়েছিলাম। কিন্তু এবছর স্পেশাল কিছু বানাইনি। কেনাকাটি করতে কেউই আসছেন না। সোমবার হয়ত আরও একটু ভিড় হবে।
বালুরঘাট শহর সংস্কৃতির শহর হিসেবে পরিচিত। এই শহরে প্রতিবছর রাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে বোনেরা ভাইদের রাখী পরান। কিন্তু এবছর করোনা সংক্রমণের জেরে সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।