পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুবীরবাবু নিজের খেয়ালে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই আশ্চর্য সংগ্রহশালা। কী নেই সেখানে? রয়েছে সুলতান মহম্মদ-বিন-তুঘলকের আমলের মুদ্রা ‘গানি’, কুতুবুদ্দিন আইবকের আমলের ‘টঙ্কা’, শের শাহের আমলের মুদ্রা ‘পয়সা’, আকবর, জাহাঙ্গীর, ঔরঙ্গজেবের আমলের মুদ্রা ‘দাম’। এছাড়াও হুমায়ুন ও শাহাজাহানের আমলে প্রচলিত মুদ্রা ‘ফালুস’ও দেখা যাবে এই সংগ্রহশালায়। দেখা মিলবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ব্যবহৃত মুদ্রা, মহারানী ভিক্টোরিয়ার আমলে চালু হওয়া সোনার জল করা মোহরের রেপ্লিকাও। গিয়াসুদ্দিন বলবন, আলাউদ্দিন খিলজি, ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম ও ষষ্ঠ জর্জ ও এডওয়ার্ডের আমলে প্রচলিত রৌপ্য মুদ্রাও রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। রয়েছে তামা, দস্তা, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম মিশ্রণে তৈরি মুদ্রা থেকে হাল আমলের স্টেইনলেস স্টিলের মুদ্রার সংগ্রহও।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্মরণীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনা ও ব্যক্তিত্বদের সম্মানে ভারত সরকারের চালু করা বিভিন্ন স্মারক মুদ্রাও স্থান পেয়েছে এই সংগ্রহশালায়। রয়েছে সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম সেনানী তাঁতিয়া টোপির জন্ম দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষ্যে চালু হওয়া ২০০ টাকার কয়েন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ শতবর্ষে চালু হওয়া ১৫০ টাকার মুদ্রা কিংবা সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ১২৫ তম জন্মবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে প্রকাশিত ১২৫ টাকার কয়েনও। রয়েছে ৭৫, ৬০, ২৫ এবং ২০ টাকার কয়েন। রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, কানাডা সহ পৃথিবীর ২৫টি দেশের প্রায় ২০০০ মুদ্রা।
এরই সঙ্গে বাতিল হয়ে হয়ে যাওয়া ৫০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ২০ পয়সা, ১০ পয়সা, পাঁচ পয়সা থেকে এক পয়সা আনি, সিক্কা, পাই ইত্যাদি দিয়ে সুবীরবাবু তৈরি করে ফেলেছেন ‘টাকার গাছ’, আংটি কিম্বা ছোট বাড়ির মতো মডেল।
পাশাপাশি দেশলাইবাক্স সংগ্রহের নেশাও রয়েছে এই গ্রন্থাগারিকের। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সংগৃহীত দেশলাইকাঠি দিয়ে তিনি বানিয়েছেন ৫০টি মডেল।
অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই তাঁর মুদ্রা সংগ্রহের নেশা শুরু হয়েছিল বলে জানান এই গ্রন্থাগারিক। এখন তাঁর ইচ্ছা রাজ্য সরকারের সাহায্য নিয়ে পিপিপি মডেলে একটি সংগ্রহশালা গড়া। তাহলে তাঁর বিপুল সংগ্রহ সাধারণ মানুষও কাছে দেখার সুযোগ পাবেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এখনই এব্যাপারে কিছু ভাবছেন না সুবীরবাবু।