বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নির্দিষ্ট মেশিনে নমুনা পরীক্ষার সময়ে সিটি ভ্যালুর বিষয়টি থাকলেও এতদিন পর্যন্ত এর উপরে খুব বেশি নজর দেওয়া হচ্ছিল না। মেশিন থেকে পজিটিভ ও নেগেটিভ রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছিল। তাই এখন থেকে সিটি ভ্যালুর উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গের করোনা মোকাবিলায় নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, যখন থেকে নজরে আসতে শুরু করল উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, তখন খোঁজ করা হয় কেন এঁদের মৃত্যু হচ্ছে। সেই সময়েই সিটি ভ্যালুকে আলাদা করে প্রাধান্য দিতে শুরু করা হয়। যে উপসর্গবিহীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁর সিটি ভ্যালু কি ছিল, আর যিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁর সিটি ভ্যালু কত ছিল সেটা দেখা হয়েছে। বিদেশেও বেশকিছু জায়গায় এটা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে এটা করা হবে। সিটি ভ্যালুর উপরে গুরুত্ব দিয়েই রোগীকে কোভিড হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হবে। আমরা সবটা গুছিয়ে নিচ্ছি। এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা এলে কাজ শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটি ভ্যালুর পরিমাণকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। সাধারণত ৬ থেকে ১০ থাকলে তা সব চেয়ে খারাপ। ১১ থেকে ২০ হলে মাঝারি ও ২১ থেকে ৪০ হলে তা ঝুঁকি কম। স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, যে সমস্ত করোনা রোগীর সিটি ভ্যালু ২০’র উপরে তাঁরা অনেকটাই নিরাপদ। তাঁরা হোম আইসোলেশনে ১৪ দিন থাকলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। যদি তাঁদের কোনও প্রকার করোনার লক্ষণ দেখা যায় তখন তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। উত্তরবঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের সিংহভাগই উপসর্গবিহীন। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের জেলায় জেলায় অবস্থিত কোভিড হাসপাতালগুলিতে ভর্তি করা হচ্ছে। আবার যাঁদের উপসর্গ নেই তাঁদের বিভিন্ন সেফ হোমে রাখা হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই কোভিড হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে নানারকম সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্য দপ্তর বেশকিছু কোভিড হাসপাতালে বেড সংখ্যা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করেছে। কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর থেকে শুরু করে নানা ধরনের চিকিৎসা উপকরণ আনা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সিটি ভ্যালুর উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দপ্তর।