কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই রিপোর্ট স্বস্তি দেওয়ার পরেও চা মালিক সংগঠনগুলি আশ্বস্ত নয়। সেইজন্য একটি চা বাগান মালিক সংগঠন নতুন করে বাগান ধরে ধরে ফের শ্রমিকদের সোয়াব টেস্টের আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। অন্য আরএকটি মালিক সংগঠন শ্রমিকদের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাগানে বাগানে ভিটামিন ট্যাবলেট বিলির আর্জি জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। স্বাস্থ্য দপ্তর অবশ্য জানিয়েছে, আগস্ট মাস থেকে প্রতিদিন জেলায় ১৫০০ সোয়াব টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাতে বাগানও থাকছে।
জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, দু’টি চা মালিক সংগঠন চিঠি দিয়েছে। আমরা হাজার তিনেক শ্রমিকের সোয়াব টেস্ট করেছি। তাতে মাত্র চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়েছে। তবে শ্রমিকদের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ট্যাবলেট বিলির দায়িত্ব বাগান মালিকদেরই নিতে হবে।
টাইয়ের সচিব চা গবেষক রামঅবতার শর্মা বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। এ অবস্থায় আমরা চাইছি বাগান ধরে ধরে শ্রমিকদের নতুন করে আবার সোয়াব টেস্ট হোক। তারজন্যই এই আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরকে সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ডিবিআইটিএ’র মুখপাত্র সঞ্জয় বাগচী বলেন, অতিবর্ষণের জেরে শ্রমিকদের জ্বর, সর্দি ও কাশি বাড়ছে। ভারী বৃষ্টিতে চা মহল্লায় জলবাহিত পেটের রোগেরও প্রাদুর্ভাব হয়। এ সময় শ্রমিকদের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। সেইজন্যই আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি স্বাস্থ্য দপ্তরই শ্রমিকদের ভিটামিন ট্যাবলেট বিলির দায়িত্ব গ্রহণ করুক।
প্রসঙ্গত, টি অ্যাক্ট অনুসারে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হওয়ার কারণে চা বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে মালিকপক্ষের। তাই উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন, বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ভিটামিন ট্যাবলেট বিলির দায়িত্ব নিতে হবে মালিকপক্ষকেই।
এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলায় বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ সোয়াব সংগ্রহ হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর এবার জেলায় প্রতিদিন আড়াইগুণ বেশি লোকের সোয়াব সংগ্রহের উপর জোর দিয়েছে। আজ, সোমবার থেকে এই অভিযান শুরু হচ্ছে।