রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
অন্যদিকে, সিএমওএইচ অফিসের এক কর্মীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ফলে সেখানেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আপাতত মোট কর্মী সংখ্যার ২০ শতাংশ কর্মী দিয়ে অফিসের কাজ চালানোর চিন্তাভাবনা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি সিএমওএইচ অফিসকেও স্যানিটাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাই আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহিলা যেই ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন, সেই ওয়ার্ডটিকে পাশের ঘরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই ওয়ার্ডের ঘরটি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের দপ্তরের এক কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। কম কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে ।
এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসন। বুধবার থেকে বালুরঘাট সহ বাকি কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউনের বিধিনিষেধ নিয়ে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। শহরবাসীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হলেও অনেকেই তা মানছেন না। অপ্রয়োজনে রাস্তায় বেরনো এবং মাস্ক না পরার মতো দৃশ্য চোখে পড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে জেলার ১০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একধাক্কায় জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। জেলায় মোট ৪১১ জন করোনা আক্রান্ত।
গত শনিবার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০১ জন। রবিবার তা বেড়ে হয় ৩২৫। সোমবারে ৩৬৯ ও মঙ্গলবারে তা হয়ে গিয়েছে ৪১১ জন। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে কুমারগঞ্জ ব্লকে। সেখানে ৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শহরে মধ্যে বালুরঘাট পুরসভা এলাকাতে ৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই বাইরে ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। জেলায় থেকে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে এসেই তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলাজুড়ে র্যািনডম সোয়াব সংগ্রহ অনেকটা কমেছে বলে সূত্রের খবর। র্যা নডম সোয়াব সংগ্রহ আবার পুরোদমে শুরু হলেই আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই স্বাস্থ্য দপ্তর মনে করছে। মালদহ মেডিক্যাল থেকে এখনও বেশ কিছু সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জেলায় আসেনি। সেই রিপোর্ট একসঙ্গে এলে আবার আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ট্রুন্যাট মেশিনে প্রতিদিন গড়ে ৩০টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।