পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সাগরদিঘির পাশে চারতলা অফিসের উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ’উত্তরা’। পাশাপাশি এদিনই মন্ত্রী জেলায় আরও দু’টি সেতুর উদ্বোধন করেন। ওই সেতু দু’টি চালু হওয়ায় স্থানীয় মানুষের পারাপারের বিশেষ সুবিধা হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের নতুন অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পবন কাডিয়ান, জেলার পুলিস সুপার সন্তোষ নিম্বালকর।
মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দে নির্মিত তিনটি প্রকল্পের এদিন উদ্বোধন করা হয়। এরমধ্যে দু’টি সেতু ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের শাখা অফিস রয়েছে। অফিসটি চালু হওয়ায় এখান থেকে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে দপ্তরের কাজগুলি পরিচালনা করতে আমাদের সুবিধা হবে। শিলিগুড়ি থেকে দপ্তরের আধিকারিকরা এখানে এলে কাজ সেরে ফিরে যেতে তাঁদের সমস্যা হয়। এখন থেকে তাঁরা এখানে থেকেই কাজ পরিচলানা ও পরিদর্শন করতে পারবেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের শাখা অফিসটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯ টাকা। জেলাশাসকের দপ্তরের থেকে এই কাজের জন্য জমি দেওয়া হয়েছিল। তারউপরেই বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মন্ত্রীর বসার রুম, সচিবের রুম, ভিজিটার রুম, ইঞ্জিনিয়ারদের বসার কক্ষ, কনফারেন্স রুম, অফিস রুম রয়েছে। শহরের কেন্দ্রে সাগরদিঘির পাড়ের এই অফিসটির একদিকে জেলাশাসকের দপ্তর রয়েছে। কাছেই জেলা পুলিস সুপারের অফিস।
অপর দিকে, এদিনই সকালে খাগড়াবাড়ির বনচুকামারিতে মরা তোর্সা নদীর উপরে একটি সেতুর উদ্বোধন করা হয়। কিংবদন্তী ভাওয়াই সঙ্গীত শিল্পী ‘নারায়ণ রায়ে’র নামে ওই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে। এরজন্য ২ কোটি ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩১২ টাকা খরচ করা হয়েছে। সেতুটি ৪৮ মিটার লম্বা ও সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া। খাগড়াবাড়িই নরোদ্দিনের মাথা এলাকায় আরও একটি সেতুর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এই সেতুটি খরাবই নদীর উপরে নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রবীন্দ্র-নজরুল’ সেতু। এর জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৭০ টাকা ব্যয় করেছে। এই সেতুটি ৩৬ মিটার লম্বা ও সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া।