বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে দিনহাটার তিনটি ব্লকের নিচু এলাকায় থাকা চাষের জমি জলে তলিয়ে গিয়েছে। অনেকের ধানের বীজতলা জলের নীচে রয়েছে। মহকুমার নদীগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই জমির জল নামছে না। এমনভাবে কিছুদিন টানা জলের নীচে বীজতলা থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। আবার নতুন করে ধানের চারা তৈরি করে জমিতে ধান লাগাতে গেলে প্রায় একমাস দেরি হয়ে যাবে। অনেকে আবার ধান রোপণের জন্য জমি তৈরি করলেও অনেকটা জল জমে যাওয়ায় তাঁরা ধান রোপণ করতে পারছেন না। ফলে কৃষকরা এবার আমন চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
নয়ারহাটের কৃষক মজিবর মিঁয়া বলেন, আমি তিনবিঘা জমিতে ধান লাগানোর জন্য জমি চাষ দিয়ে তৈরি করে রেখেছিলাম। ধানের চারাও জমি থেকে তোলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে জমিতে এখন এক কোমর জল দাঁড়িয়ে আছে। ওই জল না নামলে কোনওভাবেই জমিতে ধানের চারা লাগানো যাবে না।
সুকারুরকুঠির আরএক কৃষক আব্দুল হোসেন বলেন, দু’বিঘা জমিতে ধান লাগানোর জন্য বীজতলা করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির জেরে সেটা জলের নীচে চলে রয়েছে। এক-দু’দিনের মধ্যে যদি জল নেমে না যায় তাহলে ওই চারা নষ্ট হয়ে যাবে। আবার বীজ কিনে নতুন করে চারা তৈরি করে ধান লাগাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমার মহাবিপদে পড়েছি।
কোচবিহাররের উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অরুণকুমার বসু বলেন, বৃষ্টির জেরে জেলার অনেক নিচু জমিতে জল জমে গিয়েছে। একটানা বেশিদিন জল জমে থাকলে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন। তবে জল তাড়াতাড়ি নেমে গেলে বীজতলা নষ্টের সম্ভাবনা অনেকটাই কম হবে। জেলার প্রতিটি ব্লকে কোথায় কী অবস্থা আছে তা জানতে ব্লকস্তর থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। সেটা এলেই কোথায় কত ক্ষতি তা জানা যাবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
কৃষি দপ্তরে সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের অন্যান্য মহকুমার মধ্যে দিনহাটা মহকুমায় ভালো ধান হয়। সেইজন্য কৃষকদের অন্যান্য চাষের থেকে ধান চাষের দিকে বেশি ঝোঁক রয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকাল হওয়ায় আমন ধানের ক্ষেত্রে বোরো ধানের মতো সেচের খরচ না থাকায় কিছুটা লাভবান হন কৃষকরা। কিন্তু এ বছর বেশি বৃষ্টিপাতের জন্য নিচু জমিগুলিতে জল জমে যাওয়ায় চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।