বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা আগে থেকেই বেহাল হয়ে ছিল। তিন বছর আগের বন্যায় একাধিক এলাকায় রাস্তার দু’পাশ থেকে মাটি ধসে গিয়েছে। তারপর থেকেই বিপজ্জনক ওই রাস্তায় বাস চলাচল কার্য়ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভুটভুটিতে চেপে কোনওরকমে যাতায়াত করতে হয় অফিস যাত্রী, পড়ুয়া সহ এলাকার বাসিন্দাদের। অথচ, মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের জীবনরেখা বলা হয় ফুলহার বাঁধের ওই রাস্তাটিকে। সেই রাস্তা সংস্কারে প্রশাসন উদ্যোগী নয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসী জানান, সংস্কারের দবিতে ওই কমিটির অধীনে এলাকায় লাগাতার অবরোধ, বিক্ষোভ আন্দোলন করা হবে। সেইসঙ্গে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় সরকারি সমস্ত কাজে অসহযোগিতা করা হবে।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তথা শিশু-নারী উন্নয়ন ও জনকল্যাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, ঢেলাহি মোড় থেকে তেলজান্না স্লুইস গেট হয়ে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দ্রতি যাতে তা সংস্কার করা হয় সেজন্য পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। এই রাস্তার কাজ হলে ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত, ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত, মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত ও দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, ওই রাস্তার কিছু অংশ গত বছর সংস্কার করা হযয়েছে। পুরো রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব পূর্ত দপ্তরকে দেওয়া হয়েছে। তারা সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের মণিপুর ঢেলাহি মোড় থেকে দিল্লি-দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ফুলহার বাঁধের রাস্তাটি আটের দশকে প্রথম পাকা করা হয়। ওই বাঁধের দু’পাশে রয়েছে ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাশাপাশি ওই সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের সঙ্গেও। ফুলহার বাঁধের ওই রাস্তার পাশে চারটি হাই স্কুল, দু’টি হাই মাদ্রাসা, একটি সিনিয়র মাদ্রাসা, একাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গোবরাহাট, দৌলতনগর ও ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর, পুলিস ক্যাম্প, ব্যাঙ্ক সহ একাধিক সরকারি দপ্তর। আগে তেলজান্না স্লুইস গেট থেকে সরাসরি মালদহ সদর পর্য়ন্ত একাধিক সরকারি, বেসরকারি বাস চলত। এখন পরিষেবা প্রায় বন্ধের মুখে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মতিয়ুর রহমান, প্রসেনজিৎ মিত্র, ধীরাজ ঘোষরা জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনের জেরে ২০১১ সালে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। তারপর আর কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।