পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ফুড সাপ্লাই অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে সর্ষের তেল ব্যবসায়ীদের। সম্প্রতি জেলার কয়েকটি জায়গায় সর্ষের তেলের কারখানায় ভেজাল সামগ্রীর হদিশ মিলেছে। তারপরই এই বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হতে চাইছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন আমরা ভেজাল সর্ষের তেল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনওভাবেই সর্ষের তেলে কোনও ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো মেনে নেওয়া যাবে না। এবিষয়ে আমরা রীতিমতো সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি। পুলিস ও প্রশাসন আমাদের খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কাজ করছে। পাশাপাশি সরকারি আইন অনুযায়ী এমন কাজ করলে কি ধরনের শাস্তি হতে পারে সে সম্পর্কেও ব্যবসায়ীদের জানিয়েছি। যদি কোনও অসাধু ব্যবসায়ী এরপরেও ভেজাল সর্ষের তেলের কারবার করেন, তবে আমরা আরও কড়া ব্যবস্থা নেব। এবিষয়ে আমি ইতিমধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেছি।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভেজাল ভোজ্য তেলের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভেজাল সামগ্রী আমরা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা সর্বদা প্রচার চালাচ্ছি। যদি কোনওভাবে কোথাও ভেজাল ভোজ্য তেলের কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আমরা ফের বড় অভিযান চালাব।
সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা, কানকি প্রভৃতি এলাকায় ভেজাল সর্ষের তেলের কারখানায় রীতিমতো অভিযান চালিয়েছে পুলিস। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল সর্ষের তেল এবং সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের কর্মীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, ভেজাল তেল বড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবসা না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি এধরনের ভেজাল ভোজ্য তেলের ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে দু’লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করতে পারে প্রশাসন।