পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সেচ দপ্তরের রেকর্ড বলছে, ১৯৯৩ সালের ২০ জুলাই আলিপুরদুয়ারে রেকর্ড ৩৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিতে কালজানি নদীবাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেই স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় শহরের বাসিন্দাদের। এরপর ২০১৭ সালে জুলাইয়ে শহরে একদিনে ৪০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও কালজানি নদীবাঁধ ক্ষতি হয়নি। সেচ দপ্তরের আলিপুরদুয়ার কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ৩৪৫.৪০ ও হাসিমারায় ১৬১.৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পুরসভার প্রশাসক মহকুমা শাসক শ্রীরাজেশ বলেন, পুর এলাকায় প্রায় ২৫০০ পরিবার জলবন্দি। দুর্গতদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। রাতে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ নিয়ে কোথাও কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ নেই।
সমতলের সঙ্গে পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত পুরসভার ১, ৫, ৮, ৯, ১১, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও বা কোমর সমান জল জমে যায়। শহরের আনন্দনগর, পূর্ব শান্তিনগর, সারদাপল্লি, সুভাষপল্লি, মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস, নিউ আলিপুরদুয়ার, বিজি রোড, বেলতলা ও অরবিন্দনগরে জল জমে যায়। হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর পাড়া উদয়নবিতানেও।
টানা বৃষ্টিতে পুরোপুরি কালজানির বুক সমান জলে ডুবে যায় পুরসভার হঠাৎ কলোনি, মিলনপল্লি, বগড়িবাড়ি, পলাশবাড়ি, বিদ্যাসাগরপল্লি, মুসলিমপাড়া, সঞ্জয় কলোনি ও প্রমোদনগর কলোনি চরগুলি। মূল শহর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কালজানির ওপারে থাকা পুরসভার দ্বীপচর এলাকাটি। নদী চরের জলবন্দি বাসিন্দাদের উদ্ধারে পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা নৌকা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উদ্ধার কাজে মাত্র ছ’টি নৌকা নামানোর জন্য চর এলাকার বাসিন্দারা পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পর্যাপ্ত না নৌকা থাকায় চর এলাকার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে জল ডিঙিয়ে পরিবার নিয়ে কালজানি নদীবাঁধে আশ্রয় নেয়। এদিকে কালজানির জল শহরে ঢোকা আটকাতে স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাঁধের এপারে মূল শহরে কালজানি নদীবাঁধ ঘেঁষা নিচু ওয়ার্ডগুলির জমা জল বের করে দিতে পুরসভা ১৫টি পাম্প ব্যবহার করে। তাতেও দুপুর পর্যন্ত জল নামেনি। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাম্পগুলি মান্ধাতার আমলের হওয়াতেই জল টানতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগছে।