পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি চলছিল। রবিবার রাত থেকে একনাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয় শিলিগুড়িতে। অতিবৃষ্টির জেরে রাত থেকেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে যায়। আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় শিলিগুড়িতে ২৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা এবছরের রেকর্ড। টানা বৃষ্টিতে রবিবার রাত থেকেই মহানন্দা নদীতে জল বাড়তে শুরু করে। পুরসভার ১, ৪, ৫, ২৫, ৩১, ৩২, ৩৪, ৩৭ এবং ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডেও জল জমতে থাকে। বৃষ্টির জেরে নর্দমার জলে নিচু এলাকার বাড়িগুলি প্লাবিত হয়। আতঙ্কে অনেকে রাতেই জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে তুলে রাখেন। সোমবার সকালে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। শিলিগুড়ি পুরসভার ২৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উদয় দাস বলেন, রাত থেকে বাড়িতে জল ঢোকা শুরু হয়। রান্নাঘর এমনকী ভিতরের ঘরেও জল ঢুকে গিয়েছে। আতঙ্কে আমরা রাতেই জিনিসপত্র বিছানার উপর রেখেছি। চৌকির উপর কোনওরকমে রান্নাবান্না করতে পেরেছি। দুপুর পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। আমাদের এলাকায় প্রতিবার বৃষ্টি হলেই জল ঢুকে পড়ে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। পুরসভা সমস্যার বিষয়টি জানলেও ব্যবস্থা নেয়নি।
মিলনপল্লির বাসিন্দা দেবাশিস সাহা বলেন, আমাদের এলাকায় নিকাশি নালাগুলির সমস্যা ভয়াবহ। এখানে সামান্য বৃষ্টিতেই সমস্যা দেখা দেয়। টানা বৃষ্টির জেরে আমার বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। সোমবারের জলযন্ত্রণায় কার্যত চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় পুরসভার বাসিন্দাদের। বাড়ির ভিতর হাঁটু জলেই কাজ সারতে হয়। যদিও দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি একটু করে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। নিকাশি নালাগুলিতে জলস্তর কমতে শুরু করায় ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে। জলযন্ত্রণায় দুর্ভোগ নিয়ে পুরসভার ভূমিকায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ শহরবাসী। যদিও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য শঙ্কর ঘোষ বলেন, ফুলেশ্বরী, মহানন্দা, জোড়াপানি প্রভৃতি নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় শহরে জল ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির পরিমাণও অতিরিক্ত ছিল। তার ফলে পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে জল জমে যায়। পুরসভার পক্ষ থেকে পাম্প দিয়ে জল রের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।