পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রবিবার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মোহনবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন দলের কার্যকরী সভাপতি পল্লব দাস। এমনকী, মোহনবাবুকে নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ত্রিশূল চিহ্ন নিয়ে ভোটের ময়দানে নামলে এলাকায় কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে খোঁচা দিয়েছেন পল্লববাবু।
এদিন পল্লববাবু বলেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মোহনবাবু বলেছেন, পুরসভা ভোটে আমি প্রচুর ভোটে হেরেছি। তা সত্ত্বেও আমাকে কেন কার্যকরী সভাপতি করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রথম কথা, আমি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেই এলাকাতেই আমি দলীয় কাজ করতাম। ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ড থেকেই আমি ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে মোহনবাবু আমার ওয়ার্ড বদল করে দেন। সংগঠন না থাকা ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তিনি আমায় হারিয়ে ছিলেন। নানা চক্রান্ত সত্ত্বেও আমি খুব বেশি ভোটে হারিনি। এখন উনি অসুস্থ। দলের মধ্যে থেকে সমানে দলের বদনাম করে যাচ্ছেন। আসলে তিনি পদের জন্যই রাজনীতি করেছেন। তিনি এখন যা করছেন, তা নিয়ে জেলা কমিটির মারফৎ একটি রিপোর্ট গিয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। এলাকার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছেন। ত্রিশূল চিহ্ন নিয়ে ভোটে দাঁড়ালে এলাকায় কোনও প্রভাব পড়বে না। ১৭ বছর ধরে চেয়ারম্যান থাকলেও এলাকায় ওঁর কোনও জনভিত্তি নেই।
যদিও বিরোধীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে পল্লববাবুকে হারানো হয়েছে, এই অভিযোগ মানতে নারাজ মোহনবাবু। তিনি বলেন, বিরোধীরা কি আমার কথা মতো চলবে? এমনটা কখনও হয় নাকি? পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। পুরভোট এখনও দেরি আছে। তখন দেখা যাবে এলাকায় কার প্রভাব কেমন। আমি মানুষের সঙ্গেই আছি। আগামী দিনেও মানুষের সঙ্গেই থাকব।