পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অভিভাবকরা বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় সন্তানরা বাড়িতে বই নিয়ে বসতেই চাইছে না। স্কুল থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়ায় ভালো হয়েছে। এতে ওদের লেখাপড়ার প্রতি ঝোঁক থাকবে। এটা সত্যিই ভালো উদ্যোগ।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের নর্থ সার্কেলের এসআই আজিমকুদ্দুস বিনগনি বলেন, অনেক পড়ুয়ার অভিভাবকেরই হোয়াটসঅ্যাপ নেই। যার ফলে আমরা তাদের কাছে টাস্কগুলি পৌঁছে দিতে পারছিলাম না। পড়ুয়ারা যাতে লেখাপড়ার চর্চার মধ্যে থাকে, তারজন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কুমারগ্রাম ব্লকের সিক্স সার্কেলের এসআই সঈদ আনোয়ার মোল্লা বলেন, পড়ুয়ারা যাতে বাড়িতে বসে আমাদের দেওয়া প্রশ্নপত্র সমাধান করে, সেকথা অভিভাবকদের বলা হচ্ছে। স্কুল খোলার পর ওইসব প্রশ্নের উত্তর জমা নেওয়া হবে।
আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া বীরপাড়া একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জন্য বিষয় ভিত্তিক যেভাবে মূল্যায়ন হয়, সেভাবেই প্রশ্নগুলি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্নগুলি ১৫ দিন পরপর পাল্টে দেওয়া গেলে ভালো হতো। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের পশ্চিম চিকলিগুলি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক গুণধর দাস বলেন, আমার স্কুলে ৪২ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। আমরা তাদের অভিভাবকদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিচ্ছি।
গত বুধবার থেকে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের চতুর্থ পর্যায়ে মিড ডে মিলের সামগ্রী দেওয়া শুরু হয়েছে। এই সামগ্রীর মধ্যে চাল, আলু, ডাল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে।
পড়ুয়াদের পরিবর্তে তাদের অভিভাবকরা এসে সেগুলি সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকরা নির্দিষ্ট ক্লাসের জন্য প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা অভিভাবকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। লকডাউনের জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়াই পড়াশুনা থেকে দূরে সরে গিয়েছে। পড়ুয়াদের লেখাপড়ার প্রতি ঝোঁক কমে যাচ্ছে। এমনটা আঁচ করেই শিক্ষা দপ্তর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
স্কুলগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া চর্চার মধ্যে রাখার জন্য শিক্ষা দপ্তর বাংলা শিক্ষা পোর্টালে বেশকিছু টাস্ক আপলোড করেছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ওই টাস্কগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু অনেকেরই হোয়াটসঅ্যাপ না থাকায় প্রশ্নগুলি প্রিন্ট করে দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের নর্থ সার্কেলে ৪৬টি, ইস্ট সার্কেলে ৫০টি এবং সিক্স সার্কেলে ৫৭টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে।