পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গঙ্গারামপুর মহকুমার দুই শহরে লকডাউন কার্যকর করতে নজরদারি চালাচ্ছে মহকুমা পুলিস প্রশাসন। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে পুলিস। গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর শহরের দৈনন্দিন বাজার ও মার্কেটে নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিসকর্মীরা। শহরের রাস্তায় সামাজিক দূরত্ব বিধি না মেনে গা ঘষাঘষি করে যাত্রী বহনের অভিযোগ উঠেছে টোটোচালকদের বিরুদ্ধে। পুলিস এভাবে যাত্রীবহনের বিরুদ্ধে অভিযানেও নেমেছে। শনিবার নিয়ম ভেঙে যাত্রী বহন করার অভিযোগে বেশ কিছু টোটো আটক করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস।
গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে সাতদিনের লকডাউন যাতে যথা নিয়ম অনুযায়ী পালিত হয়, সেদিকে আমাদের পুলিসকর্মীরা নজর রাখছেন। প্রথমে আমরা মাইকিং করে শহরবাসীকে সচেতন করেছি। এখন শহরে অপ্রয়োজনে যাতে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা না থাকে, জমায়েত যাতে না হয় বা অপ্রয়োজনে যাতে কেউ রাস্তায় না বের হন, তা সুনিশ্চিত করছি। প্রবীণ নাগরিকরা যদি রাস্তায় বেরনোর পর মাস্ক পরতে ভুলে যান, তাহলে তাঁদের পুলিস মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে। তবে অল্পবয়স্ক কোনও ব্যক্তি মাস্ক না পরলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে শহরে বিধি ভেঙে টোটো যাত্রীবহন করায় আমরা প্রায় ১৬টি টোটো আটক করেছি। এরপর আমরা আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করব। মাস্ক না পরলে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হবে ও জরিমানা করা হবে।
বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার, আমরা লকডাউনের মধ্যে বুনিয়াদপুর শহরে টোটো ঢুকতে দিচ্ছি না। মাস্ক না পরলে শহরের রাস্তায় বের হওয়া যাবে না কোনওভাবেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদের মহিলা পুলিসকর্মী ও মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রেখে মোতায়েন করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা রিঙ্কু হালদার বলেন, দেরি করে হলেও প্রশাসন এমন সক্রিয়ভাবে লকডাউন কার্যকর করায় সুফল মিলবে। কিছু দোকান ও বাজারে আরও কড়া নজরদারি চালানোর দরকার রয়েছে।
অপরদিকে, হরিরামপুর ব্লকের দু’টি গ্রাম সৈয়দপুর ও গুরখর এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করার পরই হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নো মাস্ক নো এন্ট্রি বোর্ড লিখে প্রচার করছে হাসপাতালজুড়ে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা মাস্ক পরা থাকলে, তবেই হাসপাতালে ঢুকতে দিচ্ছেন রোগীর পরিজনদের।